সরকার ইসিকে ২ লক্ষ ইভিএম মেশিন কেনার মাধ্যমে প্রণোদনা দিচ্ছে : ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২২ এএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশনে কে অধিক মূলে ২ লক্ষ ইভিএম মেশিন কিনার মাধ্যমে প্রণোদনা দিচ্ছে। গত ২০১৮Í১৯ অর্থবছরে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম মেশিন ক্রয় করতে বাজেট ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা। এবার ২ লক্ষ ইভিএম মেশিন ক্রয় করতে খরচ ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশন গত ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে একটি ইভিএম মেশিন ক্রয় করতে খরচ ধরা হয়েছিল ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে একটি ইভিএম মেশিন কিনতে খরচ হয় মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
এইবার নতুন নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ইভিএম মেশিন কিনতে খরচ করবে পার্শ্ববর্তী ভারতের চেয়ে ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি। এই বাজেট নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রণোদনার বাজেট ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি ৩১ নং আলকরন ওয়ার্ডরে বানিয়ার টিলা "বি" ইউনিটের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ দেশের জনগণ "ইভিএম এ নয়, ব্যালটে ভোট দিতে চায়" উল্লেখ করে ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ইভিএম মেশিন একটি ভোট ডাকাতের মেশিন। এটি একটি অকার্যকর মেশিন। এটি ভোট কারচুপির মেশিন। এই ভোট ডাকাতের মেশিন দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের জিতানোর জন্য এই সরকার আজ্ঞাবহ কমিশনের মাধ্যমে এই অপকর্ম করাচ্ছে। এ সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে এই দেশের সাধারণ জনগণ দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে।
প্রথম অধিবেশনে প্রধান বক্তার বক্তব্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনে সাধারণ জনগণ দিশাহারা। দেশের মানুষ এখন নিদারুণ কষ্টের মধ্যে আছে।সরকার জনগণের দুর্দশার কথা চিন্তা না করে বিরোধী দল দমনে ব্যস্ত। জনগণের দাবির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ব্যবহার করছে। ৩১ নং আলকরন ওয়ার্ডের ইউনিট সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।
দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ও কোতোয়ালীÍ পুনর্গঠন কমিটির টিম প্রধান আলহাজ্ব এম এ আজিজ এর সভাপতিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও পুনর্গঠন টিমের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল হালিম শাহ আলমেরর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুনর্গঠন কমিটির সদস্য মনোয়ারা বেগম মানি, কোতোয়াালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, নগর বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন, আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদারুল আলম লাবু, সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, মোহাম্মদ সেলিম, হাজী ইদ্রিস, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন লিটু, আব্দু শুক্কুর, মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ বেলাল, সালেহ আহমেদ, মাইনুদ্দিন, মোঃ ফারুক, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ রিয়াদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
২য় অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও পুনর্গঠন টিমের প্রধান আলহাজ্ব এম,এ আজিজ বলেন, আজ ৩১ নং আলকরন ওয়ার্ডের সর্বশেষ সম্মেলন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সকলেই সম্মেলনে তৃণমূলের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। আমরা অতি দ্রুত সময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে সকল ইউনিট কমিটিগুলো সম্পন্ন করছি। তিনি ৩১ নং আলকরন ওয়ার্ডের "বি" ইউনিটের সম্মেলনে মোহাম্মদ রাশেদকে সভাপতি, মোহাম্মদ সাদেককে সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ জাহিদকে সিনিয়র সহ সভাপতি, মোহাম্মদ সেলিমকে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এবং মোঃ বাদশাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ইউনিট কমিটি ঘোষণা করেন।