জিয়াউর রহমান বাকশাল ভেঙ্গে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন : আলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩১ এএম, ২৩ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দলীয় সঙ্গীত 'প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ' যথার্থই পছন্দ করেছিলেন। আর তিনি নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন এই বাংলাদেশই তার শেষ ঠিকানা। তিনি এক দলীয় বাকশাল ভেঙ্গে দিয়ে দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় বিএনপির সময়ে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে মোবাইল ফোন চালু হয়েছিল। বিএনপি জনগনের দল, জনগনের জন্য কাজ করে।
আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর যুবদলের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকবাহিনীর তাণ্ডবের পর যখন আওয়ামীলীগের নেতাদের খোঁজে পাওয়া যায়নি তখন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পলায়ন করেছিলেন, তারা অস্ত্র হাতে তুলে নেননি। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও জিয়াউর রহমান নিজের স্ত্রী এবং নাবালক দুই শিশুসন্তানকে রেখে মুুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধিন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন বলে বেড়ায়, তারাই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। স্বাধীনতার ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগের নেতাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই বিএনপিই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। তাই সকলকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান স্বৈরাশাসকের পতন ঘটাতে হবে।
সিলেট মহানগর যুবদলের আহবায়ক নজিবুর রহমান নজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকপ্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুনায়েম মুন্না, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান।