অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়েও ভারত সফরের প্রাপ্তি দেখা যাচ্ছে না : এমরান সালেহ প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৮ পিএম, ৫ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়েও ভারত সফরের প্রাপ্তি দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, প্রায় শুন্য হাতে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি, সীমান্তে মানুষ হত্যাসহ অমিমাংশিত ইস্যু নিয়ে চুক্তি দুরে থাক আলোচনা ছড়াই প্রধানমন্ত্রীকে লাগেজ লক করতে হয়েছে। তার ভারত সফর চলাকালেই সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী গুলি করে বাংলাদেশী হত্যা করলেও তিনি বা তার সফর সঙ্গী মন্ত্রীরা টু শব্দটি করেন নাই।
গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানিকান্দা বাজারে সদর ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সদর ইউনিয়নের নেতা আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মো:শাকের উল্লাহ, আবু হাসনাত বদরুল কবির, আবদুল হামিদ, আলী আশরাফ, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মোনায়েম হোসেন খান তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, আদিবাসী নেতা সোহাইতুশ চাম্বুগং, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবদুল আজিজ খান, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু, সহ সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম ময়না, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসিফ, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আবদুল গণি সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, সদস্য সচিব আলিমুল ইসলাম, পৌর আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান সুজন, ছাত্রদলের উপজেলা আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন পাপন, পৌর সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব আলী আজগর, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ডা.আবদুর রশিদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা বোরহান উদ্দিন ঢালি, রুহুল আমিন ফকির, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান হেলাল, এম বি রায়হান, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, মোহাইমেনুল ইসলাম রবিন, আনিসুর রহমান, আবদুল্লাহ মামুন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির, সোহেল আজাদ, আবু নাসের, আবদুল লতিফ, আবদুল জলিল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্য মন্ত্রী দিয়ে দিল্লী ও জয়পুরে অভ্যর্থনা জানিয়ে তাঁর প্রতি প্রতিবেশীর নতুন মনোভাবের বার্তা দেয়া হয়েছে। অপকর্ম, দু:শাসনের কারণে শুধু দেশবাসী নয়, তার দলীয় নেতাকর্মী এমনকি বিদেশী বন্ধু-প্রভুরাও আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাদের পায়ের নীচে মাটি নাই, মাথার ওপর থেকেও ছায়া সরে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষ যখন বিপর্যস্ত, দিশেহারা সরকার তখন ১৭০ জনের বিশাল লটবহর নিয়ে নিষ্ফল ভারত সফর, ১৫০ আসনের জন্য ইভিএম কেনাসহ মেগা প্রজেক্টের নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিতে ব্যাস্ত। এভাবে অপচয় না করে এই অর্থে ভর্তুকি দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য দিতে পারত বা জ্বালানী,গ্যাস এনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত। আসলে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় জনগণ বা দুর্ভোগ নিরসন নাই, তারা এই সঙ্কটের মধ্যেও দুর্নীতি, লুটপাট, দমন, নিপিড়ন ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করতে ব্যাস্ত।
তিনি বলেন, সরকার জনসমস্যা নিরসনে ব্যার্থ হয়েছে, বরং তাদের ভুল পদক্ষেপে জনদুর্ভোগ সৃস্টি হয়েছে।তিনি নলেন, সরকার সৃস্ট জনদুর্ভোগের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণ আন্দোলন দমন করতে সরকার নিষ্ঠুর নির্যাতন চালাচ্ছে। গুলি করে, লাশ ফেলে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃস্টি করে ভয় দেখানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের ভয়ে ভীত সরকার ভয় দেখাচ্ছে। এতে জনগণ ভীত নয়। রক্ত ঝরিয়ে কোনও স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই, বর্তমান সরকারও টিকে থাকতে পরবে না। তিনি চূড়ান্ত আন্দোলনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।