দেনদরবার করতে ভারতে প্রধানমন্ত্রী : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩৫ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেনদরবার করতে ভারতে গিয়েছেন কিনা প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগে ভারতে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন হয়তো সেটার দেনদরবার শেষ করতে গিয়েছেন। তিনি বলেন, এই দেনদরবার করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব কতটুকু বিক্রি করছেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। জনগণ চেয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী নিজের অবৈধ ক্ষমতা টিকে রাখার চেষ্টায় কতটুকু স্বার্বভৌমত্ব বিক্রি করেলেন?
আজ বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রিজভী বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে এখানে এসেছি যখন চারিদিকে অন্ধকার। কারও কোন কথা বলার অধিকার নেই। দেশে যে অন্যায়গুলো হচ্ছে সেগুলাের প্রতিবাদ যারা করছে তাদের উপর নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। সভা সমাবেশ করা স্বার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু সমাবেশ যারা করছে তাদেরকর নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হচ্ছে। আপনারা জানেন, জ্বালানি তেল সহ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে আমাদের যে কর্মসূচী চলছে সেগুলোতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের আক্রমণে কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন কেউ চোখ হারাচ্ছেন। তিনজনের জীবন ও চলে গেছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করলেই সরকার চন্দ্রমূর্তি নিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন- এই দুইদিনের মধ্যে ডিমের হালি ৫৫ টাকা হয়েছে। প্রতিটি খাদ্যপণ্যে শাক-সবজি, মুশরির ডাল, চাল প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে। দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কি প্রতিবাদ করা অন্যায়? এই মূল্য বৃদ্ধি হলে একটা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভুমিকা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, জনগনকে সংগঠিত করা- কেনো আজকে খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ছে? নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে যখনই আমরা কথা বলতে যাচ্ছি, তখনই সরকার তার চন্দ্রমূর্তি নিয়ে আবির্ভুত হচ্ছে। আজকে দেশের মানুষকে ক্ষুধায়- দুর্ভিক্ষে রেখে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী ওখানে (ভারত) গিয়ে তো তিস্তা চুক্তি করতে পারেন নি। এখনও আমাদের যে ন্যায্য পাওয়ানা আমাদের অভিন্ন নদীগুলো সেগুলোর আপনি একটিও আদায় করতে পারেন নি। আজকে জোড় করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন অথচ আমাদের ন্যায্য হিস্যা একবার ও আদায় করতে পারেন নি।
বিএনপি নিজেরাই দেশকে অস্থিতিশীল করতে সারাদেশে হামলা করছে সরকার দলীয় নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যুগে যুগে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসকরা করে আসছেন। গণতান্ত্রিক শক্তির উপর তারা স্টীম রোলার চালিয়ে তারাই আবার মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেন।
মিয়ানমারের বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী আরও বলেন, এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। তাদের গণ ভিত্তি নাই বলেই তাদের পরাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত দুর্বল এবং নতজানু। দেশের এমন পরিস্থিতিতে একটা যে শক্ত প্রতিবাদের ভাষা সেটাও সরকার দিতে পারছে না কারণ একদিকে তাদের গণভিত্তি নেই অন্যদিকে অন্যান্য দেশের সমর্থনে তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে। এই কারণে তারা নতজানু হয়ে তাদের থাকতে হচ্ছে।
এ সময় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, দক্ষিণের আহবায়ক রুমা আক্তার ও সদস্য সচিব নাসিমা আক্তার কেয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।