নেত্রকোনা, বারহাট্টা ও পাকুন্দিয়ায় সন্ত্রাস, নৈরাজ্য করেছে আ'লীগ : এমরান সালেহ্ প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৬ পিএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন ,আজ নেত্রকোনার বাাহাট্টায় বিএনপির সম্মেলন মঞ্চে অগ্নিসংযোগ, পাকুন্দিয়ায় গুলি, সন্ত্রাস চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
আজ শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন।
নতুন বাজারে হরি কিশোর রায় রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকালে তিনি একই স্থানে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশেও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, শাওন, নূরে আলম, রহিমের রক্ত বৃথা যাবে না। তাদের রক্তাক্ত পথ বেয়ে সরকারের পতন হবে। রক্ত পিপাসু সরকার রক্তচক্ষু দেখিয়ে আন্দোলন দমন করতে পারবে না। সরকার সৃষ্ট জনদুর্ভোগের বিরুদ্ধে আন্দোলন রক্তাক্ত করে, বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী রক্তে রঞ্জিত করে নিজেদের পতন ডেকে আনছে। পৃথিবীর কোনও স্বৈরাচার রক্ত নিয়ে, লাশ ফেলে, দমন, নিপীড়ন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই, আওয়ামী সরকারও পারবে না।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম এর সভাপতিত্বে ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমুদ ববির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন আহমদ বাচ্চু, যুবদলের উত্তর জেলা সভাপতি শামসুল হক, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. দিদারুল ইসলাম রাজু বক্তব্য রাখেন ।
সারাদেশে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা এবং নারায়ণগঞ্জে মহানগর যুবদল নেতা মোঃ শাওনকে পুলিশ কর্তৃক গুলি চালিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যৌথ উদ্যোগে এবং বিকেলে মহানগর বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ সমূহে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকার শোচনীয় পতন ও পরাজয়ের ভয়ে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও জনগণকে বন্দী করে রেখেছে। এই বন্দীশালা ভেঙ্গে বাংলাদেশকে মুক্ত করার লড়াই শুরু হয়েছে। রাজপথেই এর ফয়সালা হবে। তিনি প্রশাসনের প্রতি সরকারের পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত না হবার এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকারে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার প্রশাসনকে দিয়ে গুম,খুন করে টিকে থাকতে যেয়ে তাদেরকে বিশ্ব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। দেশপ্রেমিক দল হিসেবে বিএনপি তা চায় না। সরকারের পতন ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। আশা করি প্রশাসন জনগণের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলবে না।
তিনি বলেন, শাওন, আলম, রহিমসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে গণতন্ত্র কায়েম করে।
সমাবেশে তিনি আজ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া প্রতিবাদ সমাবেশে, নেত্রকোনার বারহাট্টায় বিএনপির সম্মেলনে ও বিভিন্ন স্থানে হামলা, গুলি, অগ্নি সংযোগসহ নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এসব হামলা-নৈরাজ্যের হিসাব কড়ায় গন্ডায় নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলন নেত্রকোনার বারহাট্টায় বিএনপির সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে রাস্তায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ময়মনসিংহে ফিরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বারহাট্টায় বিএনপির সম্মেলন মঞ্চে অগ্নিসংযোগ করে, রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রশাসনিক অনুমতি থাকা সত্বেও আওয়ামীলীগ এর উপজেলা চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে মঞ্চে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কাউন্সিলর, ডেলিগেটদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা নেতৃবৃন্দকে বারংবার ফোন করে আমাদেরকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিকেলে নেত্রকোনা জেলা শহরে লাঠি সোঠা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলের নামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, এসব হামলা চালিয়ে সরকার উস্কানিমূলক আচরণ করছে। তিনি পাকুম্দিয়ায় গুলি, হামলারও নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড.ওয়ারেস আলী মামুন, নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা.আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী উপস্থিত ছিলেন।