নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ করে এসআই কনকের গুলির ভিডিও ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৩ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কনকের রাইফেল দিয়ে গুলি বর্ষনের ভিডিও এখন ভাইরাল। বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ করে রাইফেল থেকে গুলি বর্ষন নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
নারায়ণগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলির পাশাপাশি চাইনিজ রাইফেল দিয়েও গুলি ছুঁড়েছে। ‘ডিবি পুলিশ নারায়ণগঞ্জ’-লেখা কটি গায়ে ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কননকে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে পরপর ৩ রাউন্ড গুলি করতে দেখা যায়। ওই সময় পোশাক পরিহিত এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে কোন দিকে গুলি করতে হবে তা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন। জেলা পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানান, কিন্তু এ ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশকে সাধারণত শর্টগান (যা রবার বুলেট হিসেবে পরিচিত) ব্যবহার করতে দেখা যায়। কোন ভাবেই রাইফেল ব্যবহার করা হয় না বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে হওয়া সংঘর্ষে ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি ছুঁড়েছেন বলে জানালে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে এ ধরণের ক্ষেত্রে রাইফেল ব্যবহার করা হয় না বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষ চলাকালে নগরের ২ নম্বর রেলগেটস্থ পুলিশ বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কনককে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ করে সরাসরি গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায় এসআই কনক রাইফেল দিয়ে পরপর ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তার নামে তো কোন রাইফেল ইস্যু নেই। ইস্যু আছে পিস্তল। তিনি কার নামে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি ছুঁড়লেন। এটা নিয়মের ব্যত্যয়।
জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে মোট সাত শতাধিক রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি বর্ষণ কর হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে নিহত শাওনের বড় ভাই মিলন হোসেন বাদি হয়ে বিএনপির ৫হাজার’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আর পুলিশের উপর হামলা ও কর্তব্য কাজে বাধার অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও জানান বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত বিএনপিকর্মীদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরন করেছে।