তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে ইউট্যাবের বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারামুক্তি দিবস আজ। এ উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ঐক্য না থাকায় দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। যার প্রধান ছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সেনাপ্রধান ছিলেন মঈন উদ্দিন আহমেদ (অব:)। ১২ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদ একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ একটি তথাকথিত দুর্নীতির মামলার আসামি হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তার বিরুদ্ধে আরো ১৩টি দুর্নীতির মামলা দায়ের ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। প্রায় ১৮ মাস কারান্তরীণ থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমান জামিন লাভ করেন ও বিএসএমএমইউ (সাবেক পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন। এরপর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসার সুবিধার্থে তিনি সপরিবারে বসবাস করছেন।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো ছিল বিতর্কিত এবং উদ্দেশ্যমূলক। যা জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন যে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। কেননা তারেক রহমানকে দুর্নীতির কথিত মামলা খালাস দেয়ার কারণে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ওই বিচারককেই জোরপূর্বক দেশছড়া করেছেন। শুধু তাই নয়, কথিত সেনাসমর্থিত ১/১১’র সরকারের লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণ করা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরী হিসেবে দেশনায়ক তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা। পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় বসানো এবং মাইনাস ওয়ান ফর্মূলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই তথাকথিত মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন গং সুপরিকল্পিতভাবে ১/১১ ঘটিয়েছিল। যার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য করা। কিন্তু কুচক্রিমহলের সেই দূরভিসন্ধি বাস্তবায়িত হয়নি।
নেতৃদ্বয় বলেন, গ্রেফতারের পর তারেক রহমানকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। যা আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আদালতকে জানিয়েছিল যে, তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। আজ তারেক রহমান দেশে নেই। কিন্তু তার যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে বিএনপির কোটি কোটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোসহীন সংগ্রামে নিয়োজিত আছেন। তারা তারেক রহমানের বীরের বেশে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন।