শাওন যুবদলের কর্মী, দাবি মির্জা ফখরুলের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২০ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজা আহমেদ শাওন যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এ দাবি করেন তিনি। ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে' এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শাওন হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই দিন রাতেই এসপি বললেন যে, এটা কার ছেলে, কোন দলের ছেলে, কি ছেলে- এটা এখরো নির্ধারিত হয়নি। তবে তার চাচা আওয়ামী লীগ করেন। আমরা খুব পরিস্কার করে বলেছি, সে কোন দল করে- সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সে একজন শ্রমিক। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, তাকে তোমরা গুলি করে হত্যা করেছো। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, গুলি করার কোন পরিবেশ সেখানে সৃষ্টি হয়নি। প্রত্যেকটা বিষয়ের তো একটা আইন- কানুন আছে? আমরা খুব পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, শাওন অবশ্যই যুবদলের কর্মী ও নেতা। শাওন অবশ্যই বিএনপিকে সমর্থন করতো এবং কাজ করতো। '
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কোন বিভ্রান্ত থাকার সুযোগ নেই। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকার কোন ছাড় দেবে না। প্রশ্নই উঠতে পারে না। জনগণের শক্তি দিয়ে ছাড়টা আদায় করে নিতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, বিএনপি এবার কোন মতেই পরাজিত হবে না। এবার আমাদেরকে বিজয় লাভ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। কারণ ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম এবং নারায়ণগঞ্জে শাওনের আত্মত্যাগকে কোন মতেই বৃথা যেতে দেয়া যাবে না।
সরকার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এজন্য আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কভাবে নিতে হবে। আমরা যেনো নতুন কোন চক্রাতের মধ্যে পড়ে না গিয়ে আবার তাদেরকে (সরকার) সুযোগ না করে দেই আমাদেরকে দমন করবার জন্য।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতো সহজে মুক্তি পাওয়ার কথা না। সহজ সমাধানও নাই যে, আমরা পুরোপুরি মুক্তি পেয়ে যাবো। এই লড়াইটা লড়তে হবে। আমাদের তো অনেক বয়স হয়েছে। আমরা এই লড়াই লড়ছি ছাত্র অবস্থা থেকে। আমাদেরকেও এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর আজকে এই লড়াইয়ের দায়িত্ব এসে পড়েছে তরুণ সমাজের উপরে।
তিনি বলেন, সময়টা এখন বেশি বক্তব্যে করার সময় না। এখন যতো কম কথা বলি, কাজ যতো বেশি করি- ততো ভালো হবে। আজকে ৫১ বছর পরে আমাদের নিজস্ব ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। ৫১ বছর পরে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এটা একটা জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু না।
কেনো তারেক রহমানকে টার্গেট করা হলো- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তারেক রহমানের অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা আছে। এই কয়েক বছরে এবং অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠনকে একটা কাঠামোর মধ্যে আনার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। এখানেই হয়েছে কাল! 'যেহেতু বিএনপি আবার জেগে উঠছে। বিএনপির আবার ফিনিক্সি পাখির মতো উড়ছে। সুতরাং তাকে (তারেক রহমান) আবার দমিয়ে ফেলতে হবে। তাকে আবার ফেলে দিতে হবে।'
বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, শাম্মি আক্তার, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাদের গণি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারওয়ার, নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।