বিএনপির নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে আজ থেকে মাঠে থাকবে যুবলীগ : পরশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৪ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য-তাণ্ডব’ ও পুলিশের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে যুবলীগ। রাজধানীর ফার্মগেটে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজ থেকে তাঁরা মাঠে থাকবেন। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ফার্মগেটে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। একই সময় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
ফার্মগেটের কর্মসূচিতে বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজ থেকে আমরা মাঠেই থাকব। মাঠে থেকেই আপনাদের সব নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর হিংসার জবাব দেব। বিদেশে থেকে (তারেক রহমান) আপনাদের বিপথগামী করছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যদি (তারেক রহমান) এতই বড় নেতা হয়ে থাকেন, তাহলে দেশে আসুক, আমাদের মোকাবিলা করুক।’
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রকৃত ইতিহাস ফিরে এসেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উৎকৃষ্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মানবিকতার উদাহরণ দেখিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত তাদের মিথ্যা ও নৈরাজ্যের রাজনীতির অবতারণা শুরু করেছে। এটাই তাদের চরিত্র।
বিএনপির সমালোচনা করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিন–চার বছর ধরে আপনাদের খবর নেই। এসি রুমে বসে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এঁকেছেন। আর নির্বাচন এলেই জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস করেন। এ কারণেই এ দেশের জনগণ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও জনগণ আপনাদের পাশে থাকবে না।’
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, যদি বিএনপি-জামায়াত এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি-নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায়, জনগণের বন্ধু পুলিশের ওপর হামলা করে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে যুবলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী রাজপথে থেকে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।
ফার্মগেটের এই কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মামুনুর রশীদ, আবু আহমেদ নাসিম, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম আলতাফ, মৃণাল কান্তি জোদ্দার, মো. জসিম মাতুব্বর, জয়দেব নন্দী, মোস্তাফিজুর রহমান অন্যতম।