সৈয়দপুরে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে গত বৃহস্পতিবার নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি। এসব কর্মসুচির মধ্যে ছিল সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দুপুরে মিলাদ মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা।
শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক। সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আবদুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম।
সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহিন আকতারর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক কাজী একরামুল হক, প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, শফিকুল ইসলাম জনি, জিয়াউল হক জিয়া, বিএনপি নেতা বজলার রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেজাউল করিম লোকমান, যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার হোসেন, শরিফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা কামরুল হাসান কার্জন, পৌর বিএনপি আহবায়ক শেখ বাবলু, সদস্য সচিব এরশাদ হোসেন পাপ্পু, বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিন বাদল, ওসমান গনি, আকরাম হোসেন, আবু সরকার, আনোয়ার হোসেন হাবলু,জেলা যুবদল সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রিজওয়ান আকতার পাপ্পু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এমএ পারভেজ লিটন, জেলা কৃষকদল সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বসুনিয়া, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক পিয়েল খান, জেলা মহিলাদল সভানেত্রী রওনক জাহান রেন সাধারণ সম্পাদক রুপা বেগম প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি বিএনপি'র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, যতই হামলা-মামলা চালান ,কোন লাভ হবে না। বিএনপির নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে তার প্রমান দেখুন সৈয়দপুরে।
তিনি বলেন, আমরা যারা বিএনপি করি তারা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়ার সেই আদর্শের সৈনিক। তাঁর মত সহমর্মিতার ও সহনশীলতার রাজনীতি করি। গণতন্ত্র মানবতাই আমাদের নীতি। দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।
আব্দুল খালেক বলেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারী ও বাকশালী কায়দায় মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে অনিয়ম দূর্নীতি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে মানুষের কথা বলার অধিখার কেড়ে নিয়েছে। মিছিল মিটং করতে গেলে পুলিশসহ তাদের পোষ্যবাহিনীকে লেলিয়ে দিচ্ছে। চালানো হচ্ছে হামলা। তাদের হামলায় মারা যাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মী। দেওয়া হচ্ছে বানোয়াট মামলা। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই জুলুমবাজ গণবিরোধী আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগণের দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠায় শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, সৈয়দপরে বিএনপির আনন্দ মিছিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে আনন্দ র্যালিতে বাঁধা দেওয়া হয়ে ছিল, কিন্তু দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেননি। তাই সময় থাকতে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানান সরকারের প্রতি। এর আগে দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপিসহ দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বর্ণাঢ্য র্যালী বের করলে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে বাঁধা দেয়। পরে তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। মিছিলে বর্তমান সরকারের সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দেয়া হয়।