মনোহরদীতে বিএনপির’র ২২৩ নেতাকর্মীরা নামে পুলিশের মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ৩১ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩০ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নরসিংদীর মনোহরদীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের অভিযোগে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলসহ প্রায় তিনশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে মনোহরদী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়,বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশ গুলি করে ছাত্রনেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে রবিবার সকালে মনোহরদী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
উপজেলার হেতেমদী মোড় সংলগ্ন ইটভাটায় এ সমাবেশ করার কথা ছিল। নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসার সময় এবং মিছিলে অংশগ্রহণ করায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের লোকজন হামলা চালায়। রবিবার সকাল ১১টার দিকে হাফিজপুর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হেতেমদীর দিকে আসতে থাকে। মিছিলটি বাঘবের এলাকায় পৌঁছলেপুলিশ বাধা দেয়। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে পুলিশ লাঠিপেটা, টিয়ারশ্যাল নিক্ষেপ এবং রাবার বুলেট ছুড়েন।
পুলিশের রাবার বুলেটে গুলিবিদ্ধ ২৮ জনসহ ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মনোহরদী পৌরসভা শ্রমিকদলের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর বাবুল আকন্দ, কাউন্সিলর শামসুন্নাহার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান সোহাগ, রমজান তালুকদার, মনি, খোকন, নজরুল ইসলাম। এসময় বিএনপির কর্মীদের ইটের আঘাতে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেজবাহ উদ্দিন, মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন, পরিদর্শক জহিরুল আলমসহ ১০ পুলিশ আহত হন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলায় জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেজবাহ উদ্দিনসহ ১০ পুলিশ আহত হন।
তিনি আরও বলেন, সরকারী কাজে বাধা, পুলিশের উপর হামলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান দোলন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।