দেশের মানুষ জালিম সরকারের শাসনে বসবাস করছে : ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৪ পিএম, ২৯ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জোর করে ক্ষমতায় আসার পর থেকে লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আজ সুদূরপরাহত। বড় বড় প্রকল্প দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে সবকিছু আজ চরম ঊর্ধ্বগতি। সরকারের ব্যর্থতা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষের আয় সংকুচিত হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশের মানুষ এক জালিম সরকারের শাসনে বসবাস করছে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এভাবেই চলতে থাকবে। তাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে মাঠে নামতে হবে। এই সরকারের পতনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরে আসবে।
তিনি গতকাল বিকালে নগরীর একে খান মোড়ে আকবর শাহ থানা বিএনপির উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নগরীর সিটি গেইটস্থ সিডিএ ১ নং রোড়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বাদামতলী, কর্নেল হাট, নিউ মনছুরাবাদ হয়ে একে খান মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সারসহ ভয়াবহ আর্থিক সংকটকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই বাশখালীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। মামলা দিয়ে মহিলাদল নেত্রীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে ভোলায় বিএনপির দুজন বলিষ্ঠ নেতাকে হত্যা করা হলো। কিন্তু এদেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সব স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকেও তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। যতই বাধা দিবে জনগণের শক্তি আরও সংহত হবে এবং সরকারের পতন তরান্বিত হবে।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এক ভয়ঙ্কর দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের কথা বলা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করে এক নির্বাক রাষ্ট্র সমাজ গঠনের আয়োজন করেছে। জনগণের প্রতিবাদ বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশে এক ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে। সরকার দুঃশাসন চালু করে মূলত জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। বিএনপির ওপর নির্বিচারে হামলা সরকারের এক অশুভ পরিকল্পনার অংশ। এর দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই বহন করতে হবে।
আকবর শাহ থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনুর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মো. খান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর বিএনপি নেতা কমান্ডার শাহাবুদ্দীন, নুরুল আকবর কাজল, আইয়ুব খান, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক উদ্দিন চৌধুরী, জমির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, থানা বিএনপির সহ সভাপতি মহসিন তালুকদার, শহিদুল্লাহ ভূঁইয়া, রেহান উদ্দিন প্রধান, জাহাঙ্গীর আলম, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সি. যুগ্ম সম্পাদক নুর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ আলী, আলী আক্কাস, আনোয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. কামরুল হাসনাত, ফজলুল হক মাষ্টার, গোলাম কিবরিয়া গোলাপ, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি শাহেদ আকবর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি শহিদুল্লাহ বাহার, সিরাজ উদ্দিন, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, থানা অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ গিয়াস উদ্দিন টুনু, ইলিয়াছ খান, হাসান মাহমুদ, মোহসেন আহম্মেদ তৌসিফ, মনির হোসেন, নুরুল আলম সুজন, আব্বাস রিপন প্রমূখ।