ভোট চুরির মেশিন ইভিএমে কোন নির্বাচন হবে না : মাহবুবের রহমান শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ইভিএম ভোট কারচুপির মেশিন, এই মেশিনে এই দেশে কোন নির্বাচন এই দেশের জনগণ হতে দিবে না। ২০১৪ সালের বিনাভোটের সরকার ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে। এখন নতুন করে ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএমে ভোট ডাকাতি করার নীল নকশা প্রণয়ন করছে। এই অবৈধ সরকারের সহযোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আমরা যার কারণে শুর“ থেকে এই নির্বাচন কমিশনের কোন কর্মকান্ডে অংশ নিই নাই। এখন পরিষ্কার এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহে পরিণত হয়েছে। তাই শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে এবং ইভিএম মেশিনে কোন নির্বাচন হবে না। 

আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে নগরীর নিমতলা বিশ্বরোড মোড়ে বন্দর থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। মন্ত্রীরা আবোল তাবোল কথা বলছে। এগুলো সময় শেষ হয়ে যাবার আগের লক্ষণ। এই সরকারকে আর সুযোগ দেয়া যাবে না। সময় এসেছে এই সরকারকে চূড়ান্তভাবে বিদায় করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি অংশ নিবে। ইনশাআল্লাহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করবো। 

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির জন জোয়ার দেখে দিশেহারা হয়ে গেছে। এখন পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গণজোয়ার রুখতে চাইছে। এই গণজোয়ার আর থামবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। যতই বাঁধা আসুক শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হানিফ সওদাগরের সভাপতিত্বে জাহিদুল হাসানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের উপদেষ্টা শামসুল আলম (ডক)। 

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তর“ণ বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসর“ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে দেশে মানুষ ভালো নাই। একমাত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়া সাধারণ কোন মানুষ ভালো নাই। দেশে আওয়ামী লীগ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চাইছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাবেক সহ-আইন সম্পাদক মোঃ শাহীন, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির, স্বে”ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, স্বে”ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী মূর্তজা খান, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, নুর জাফর নাঈম রাহুল।