দেশে ভয়ঙ্কর দুঃসময় যাচ্ছে : রুহুল কবির রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ২৭ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দেশে ভয়ঙ্কর দুঃসময় যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশে এক ভয়ঙ্কর দুঃসময় যাচ্ছে। সাংবাদিকরা সঠিকভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। এক ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের মধ্যে আমাদেরকে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতে নজরুল আমাদের প্রতিটি মুহূর্তে তার লেখনি দিয়ে প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরকে সাহস দিয়ে যাচ্ছেন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়তে হয়।
আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকাল ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির মাজারে যান রিজভী। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমরা যে সংগ্রামে আছি সেটি হচ্ছে মানুষ এখন অধিকার ছাড়া। এই অধিকার পুনপ্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি আজকে বিগত ১৪-১৫ বছর ধরে। আমাদের এই সংগ্রামের প্রধান প্রেরণা হচ্ছেন কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান কবিতা এবং অন্যান্য লিখনি। কারণ তিনি তার জীবনে লিখনি দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করেছেন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যার কারনে তিনি নির্যাতিত হয়েছেন কারাগারে গেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকেও বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি, মানুষ কথা বলতে গলে তাদের মধ্যে একধরনের ভিতির সঞ্চার হয় চলাচল করতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয়, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয় সুতরাং এই রকম একটা পরিবেশে নজরুল খুবই প্রাসঙ্গিক।
রিজভী বলেন, দেশের এমন ভীতির মধ্যে আমাদের যে সাহসের প্রেরণা যোগায় সাহসের যে সংবাদ দেয় আমাদের হৃদয়ের মধ্যে সেটা হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা এবং গান। আজকে জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই মূত্যুবার্ষিকীতে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে জাসাসসহ অনান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আছেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি মূহুর্তে কবি নজরুলের যে লেখনি তার যে সাহিত্যকর্ম সেটি আমাদেরকে প্রতিটি মূহুর্তে উজ্জেবিত করে আমাদের সামনের দিকে সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। তিনি বিশ্বমানবতার কবি তাকে দ্রোহের কবি বলা হয় কিসের জন্য বলা হয়? কারণ তার লেখনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিচারের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তিনি মানুষকে ভাসিয়ে দিয়েছেন প্রেম ভালবাসার অভূতপূর্ব জগতে। তিনি তার লেখনি দিয়ে আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়।সংগ্রামে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে উজ্জীবিত করে তার রচিত গান, কবিতা, আবৃত্তি।
রিজভী বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একটা কথা বলেছিলেন আমরা যখন যুদ্ধে যাবে নজরুলের গান গাইবো, আমরা যখন মিছিলে যাবে তখন নজরুলের গান গাইবে, আমরা যখন কারাগারে যাইবো তখনও নজরুলের গান গাইবে। আজও এই গণতন্ত্র হারা বাংলাদেশে আমরা নজরুলের গান গাই কবিতা আবৃতি করি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, জাহিদুল আলম হিটো, আহসান উল্লাহ, সৈয়দ আশরাফুল মজিদ, মিজানুর রহমান, বিল্লাল আহমেদ প্রমুখ।
এর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আকতার হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, নাসির উদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।