বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ পরশের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ২৬ আগস্ট,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপিকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বাড্ডা হাইস্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভা ও অসহায়-দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ দাবি তোলেন তিনি।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, কোনো এক অদৃশ্য কারণে এ আগস্ট মাসেই বারবার রক্তের কালিমা লেপেছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও শত্রুরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কালজয়ী মহানায়কদের অনেকেরই প্রাণ দিতে হয়েছে কিংবা রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। বিশ্বে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের অন্যতম ভারতের মহাত্মা গান্ধী, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, চিলির সালভাদর আলেন্দে, যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিংও জন এফ কেনেডি, মিয়ানমারের জেনারেল অং সান ও মিশরের আনোয়ার সাদাতসহ আরও অনেকে। কিন্তু এ সব হত্যাকান্ডের মধ্যে একাধিক কারণে যেটি সবচেয়ে বর্বরোচিত সেটি হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ড। এটি শুধু একটা রাজনৈতিক ব্যক্তির হত্যাকান্ড ছিল না, এটি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে তার পরাধীনতায় ফিরিয়ে নেয়া এবং নব্য উদ্ভাসিত ও সদ্য প্রকাশিত জাতিসত্তার পরিচয় মুছে ফেলার জন্যই ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল।
তিনি বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এ আগস্ট মাসেই বারবার রক্তের কালিমা লেপেছে খালেদা জিয়া তার শাসনামলে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা বাংলাদেশে বিএনপির মদদে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন (জেএমবি)। দেশের ৬৩ জেলার প্রেসক্লাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ঢাকার ৩৪টিসহ মোট ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আমি এ সভার মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি এ দেশে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। ঠিক যেভাবে জামায়াত-শিবিরের দলীয় নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে। সেভাবে বিএনপির দলীয় নিবন্ধন বাতিল করে তাদের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। কারা সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল? আজকে আমার মা- বোনদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই-যারা ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চায় সেই প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান ছিলেন ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। বঙ্গবন্দুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিলেন। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের হাতে তুলে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হাজার হাজার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে এই খুনি জিয়া। ক্যু, গুম-খুনসহ এমন কোনো নারকীয় কাজ নেই যা জিয়াউর রহমান করেন নাই। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. এনামুল হক খান, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল হাই, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিয়ষক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।