শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোন নির্বাচন হবে না : মাহবুবের রহমান শামীম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ২৪ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ১৫০ আসনে নির্বাচন করার নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণাকে সমালোচনা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের পাঠানো প্রেসক্রিপশনেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা করেছেন। এই নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন তো অনেক দূরের কথা, আগে কথা বলতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিষয়ে। তত্ত্ববধায়ক সরকার আসার পর, তাদের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। আর সে নির্বাচন কমিশনই ঠিক করবে কিভাবে নির্বাচন হবে। তবে আমাদের কথা পরিষ্কার, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে এই দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না।
আজ বুধবার নগরীর সদরঘাট থানা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, আজকে দেশে বিদ্যুৎ নেই, ডলার নেই, রিজার্ভ নাই। চারদিকে শুধু নাই নাই শব্দ, আর কিছুদিন পর দেখা যাবে শেখ হাসিনার সরকারও ক্ষমতায় নাই। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণকে বলির পাঠা করে অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখা যাবে না। জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পূনর্বহাল না করা পর্যন্ত আর রাজপথ ছেড়ে যাব না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপির মিছিল সমাবেশে জনগণের অভূতপূর্ব সাড়া, তাতে আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা, নির্যাাতন, গুম খুন করার পরও জনগণকে বিএনপি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি। বিএনপি জনগণের দল হিসাবে জনগণের দাবি আদায়ে বিএনপি রাজপথে নেমে এসেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, লোডশেডিংয়ে জনগণের নাভিশ্বাস নেমে এসেছে। জনগণকে বলির পাঠা করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার নীলনকশা আকঁছে। এই মাফিয়া সরকারের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হবে।
সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস.এম সাইফুল আলম, সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, ছাত্রদলের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জমান টিটু, মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক মশিউল আলম স্বপন, সাবেক তাতী বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলী, সাবেক সদস্য কাউসার বাবু, থানা বিএনপির সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, সো. ইলিয়াছ, ওমর ফারুক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, মো. জাহেদ, পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াছ রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হোসেন, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলমগীর সিরাজ, ইসমাঈল, নুর খান, রাশেদ, মো. আজম, কমল জ্যোতি বডুয়া, নুর জাহেদ বাবলু, ইয়াসির আরাফাত, আনেয়ারুল আবেদীন মুন্না, মান্নান, রাজিব, নাঈম উদ্দীন, ইউনুস মিয়া জুয়েল, রাব্বি প্রমুখ।