দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে : মীর নাছির

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে লুটপাট আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। তারা এখন জনগণের সঙ্গে রসিকতা করছে। সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে মানুষের দম বন্ধ হয়ে আসছে। মানুষ মুক্তভাবে শ্বাস নিতে চায়, গণতন্ত্র চায়। এ সরকারের পতন ছাড়া তা সম্ভব নয়। এখন নৌকার তলি ফুটা হয়ে গেছে। কাঠ দিয়ে তালি দিয়ে রক্ষা করতে পারবেন না। জনগণ এখন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। বুভুক্ষু মানুষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। অচিরেই এ সরকারের পতন হবে ইনশাআল্লাহ।

আজ মঙ্গলবার বিকালে নগরীর অক্সিজেন মোড়ে বায়েজিদ থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জ্বালানি তেল, গণপরিবহনের ভাড়া, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।

গণ মিছিল শুরুর আগে বায়েজিদ থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড় থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। কয়লার ঘর থেকে মিছিল শুরু করে কুয়াইশ সংযোগ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অক্সিজেন মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় মীর নাছির বলেন, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। লুটপাট করে ব্যাংকগুলো খালি করছে। সরকার প্রচার করছে- মেট্রোরেল হচ্ছে, টানেল হচ্ছে, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে, মালয়েশিয়া হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন আমরা কী দেখছি? রিজার্ভ এখন নিচের দিকে নামা শুরু হয়েছে। শ্রীলংকাকে বাহাদুরি দেখিয়ে আড়াইশ মিলিয়ন ডলার লোন দিল। এখন আইএমএফের কাছে, বিশ্বব্যাংকের কাছে, এডিবির কাছে লোন চাচ্ছে।

এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে  দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়ে সরকারের মন্ত্রীরা বেসামাল হয়ে পড়ছে। তাই এখন উল্টোপাল্টা বকছে। বিনা কারণে ভোলায় দুজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। গত ১৫ বছরে বিএনপির ৬০০ এর বেশি নেতাকর্মীকে গুম করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, জনতার সুনামিতে সরকার ভেসে যাবে। জনগণ জেগে উঠেছে। তাই সরকারের পতন অনিবার্য। এই রাজপথে ঢল নামবে, ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউয়ে যে সুনামি সৃষ্টি হবে তাতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার ভেসে যাবে।

বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিমের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুুল ফয়েজ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, জি এম আইয়ুব খান, এসএমজি আকবর, ইয়াকুব চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, নুরুল ইসলাম সাধু মিয়া, জাকারিয়া সেলিম, আবদুর রহিম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াছ, মো. বেলাল, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুুল কালাম আবু, মামুন আলম, থানা বিএনপির সহ সভাপতি মফজল আহম্মেদ কোম্পানি, মো. ইব্রাহিম, মোরশেদুল আলম, মকবুল হোসেন, মো. ইসমাইল, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউছুপ, নুরুন্নবী মিলন, আবুল বশর, সাইফু সওদাগর, আজগর হোসেন আজু, বায়েজিদ থানা যুবদলের আহবায়ক অরুপ বড়ুয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি আবু ইউছুপ, কৃষকদলের সাবের আহম্মেদ টারজান, বিএনপি নেতা হাজী আবুুল কালাম আবু, নুরু সওদাগর, আবুুল কালাম, সৈয়দ মো. মহসিন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল হালিম কালু, উসমান গনি,  মো. ইসমাইল, মহিউদ্দীন জুয়েল, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান বাপ্পা, থানা যুবদলের সদস্য সচিব মন্জুর আলম মন্জু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ আলতাফ হোসেন, সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দীন, কৃষকদলের আহবায়ক শাহ আলম, সদস্য সচিব মো. ইসমাইল, ছাত্রদলের আহবায়ক এস এম নোমান, সদস্য সচিব সৈয়দ মো. আকিব প্রমূখ।