বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত রক্ষায় বিএনপির প্রতিশ্রুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ১৩ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ দায়মুক্তি আইন তৈরি করে দুর্নীতি ও লুটপাটের জন্য সংশ্লিষ্ট আমলা-প্রকৌশলীদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে যদি সময় আসে তাহলে আমরা (বিএনপি) এর বিচার করব।'
আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি ভবিষ্যতে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা তুলে ধরেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
১. বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনসহ এ সংক্রান্ত সব কালাকানুন বাতিল করা হবে।
২. রেন্টাল/কুইক রেন্টাল কোম্পানির সাথে চুক্তি নবায়ন বন্ধ/বাতিল করা হবে।
৩. স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা হবে।
৪. চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
৫. উৎপাদন ও চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন অতি দ্রুত স্থাপন করা হবে।
৬. বাপেক্স ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে দেশীয় খনিজ ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একই সাথে দেশীয় প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৭. বঙ্গোপসাগরে সম্ভাবনাময় গ্যাস/পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ উত্তোলনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮. বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের সব দুর্নীতি-অনিয়মের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
৯. দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতকে টেকসই ও নিরাপদ করতে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে ক্রমান্বয়ে মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর জ্বালানি নীতি গ্রহণ করা হবে। বিশেষ জোর দেয়া হবে জল-বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
১০. ‘বেজ লোড পাওয়ার প্লান্ট’ স্থাপনের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে।
১১. বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজনীয় মেরামতের মাধ্যমে উৎপাদন উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
১২. দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক বিএনপির ভিশন- ২০৩০-এ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টর উন্নয়নে ঘোষিত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করা হবে।
এই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।