পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দুদু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৬ পিএম, ১৩ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ‘দেশের মানুষ বেহেশতে আছে’ আমার ওনার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন, দেশে এমন কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নাই যার দাম বাড়েনি। দেশের জনগণ কষ্টে আছে। এ রকম অবস্থায় জনগণের সাথে মশকরা করে যারা বলে দেশের মানুষ বেহেশতে আছে। তাদের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এর প্রভাব সর্বস্তরে পড়েছে। ইতোমধ্যে শিল্প-কারখানায় ব্যাপকভাবে ধস নেমেছে। উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এমন কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নাই যার দাম বাড়েনি। এর আগের দাম বৃদ্ধি ও বর্তমান দাম বৃদ্ধি মিলে কোনো কোনো জিনিসের ২০০ গুণ দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। মানুষের ভোটের প্রয়োজন হয় নাই গায়ের জোরে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এই কারণে এ সরকার জবাবদিহিতার বাইরে। সঠিক নির্বাচন হলে বুঝা যেত আওয়ামী লীগ দল কতটা অজনপ্রিয় কিন্তু দেশে তো নির্বাচন নাই। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আর এ জন্যেই সরকার বেপরোয়া হয়ে গেছে।
দেশের মানুষ বেহেশতে আছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কথার নিন্দা জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষ বেহেশতে আছে আমার ওনার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এমন কোনো জিনিস নাই যার দাম বাড়েনি। দেশের জনগণ অত্যন্ত কষ্টে আছে। এ রকম অবস্থায় যারা বলে দেশের মানুষ বেহেশতে আছে। তাদের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।
আওয়ামী লীগের একটা অংশ বেহেশতে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের একটা অংশ। সবাই না অর্ধেক বা ২০ ভাগ মানুষ যারা আওয়ামী লীগ করে দুর্নীতি, লুটপাট করে খাচ্ছে তারা বেহেশতে আছে। বাকি আওয়ামী লীগ যারা খেটে খায় তারাসহ দেশের বাকি সকল জনগণ ভয়ঙ্কর কষ্টে আছে।
তিনি বলেন, এর থেকে বেরিয়ে আসার একটাই রাস্তা। সভ্য দেশ হলে নির্বাচনের মাধ্যমে এর থেকে বের হয়ে আসা যায়। কিন্তু এটা তো সভ্য দেশ নয়। নির্বাচনের ব্যবস্থা ভেঙে ফেলেছে তাই এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে রাস্তায় নামতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নামা ছাড়া, আন্দোলন ছাড়া এই দুর্গতি থেকে বের হয়ে আসা যাবে না। সরকার যাই বলুক না কেন, সরকারের কোষাগার একদম তলানিতে।
যারা সরকারের গুণ-গান গায়তো তারাও সরকারের বিরোধিতা করছে জানিয়ে দুদু বলেন, আগে যারা সরকারের গুণ-গান গাইতেন তারাও এখন সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এমনকি রাশেদ খান মেনন যিনি এই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে তিনিও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এই জন্যে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং রাস্তায় নেমে আসি।
সংগঠনের সভাপতি জনি সরকারের সভাপতিত্বে মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জিনাফের সভাপতি মিয়া আনোয়ার, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক তানিয়া আক্তার তামান্না, মসিউজ্জামান সুজন হাসান, কামাল সরকার, লোকমান প্রমুখ।