ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণ ও ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় তোলপাড় বগুড়া, কমিটি বিলুপ্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৮ এএম, ১১ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজন কুমার ঘোষ কর্তৃক গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং ধুনট উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন কর্তৃক এক কলেজ ছাত্রী অপহরণ ঘটনায় বগুড়া জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের ও জনবিক্ষোভের সংবাদে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্ষক সুজন ঘোষকে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সোনাতলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করেছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বুধবার (১০ আগস্ট) সোনাতলায় ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা সুজন ঘোষকে গ্রেফতারের দাবিতে শতশত মানুষ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
স্থানীয় সুত্রমতে দ্রুত সুজন ঘোষ গ্রেফতার না হলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা রয়েছে।
সোনাতলা পুলিশ সুত্র জানায়, মঙ্গলবার একজন গৃহবধূ থানায় এসে ছাত্রলীগ নেতা সুজন ঘোষের বিরুদ্ধে ব্লাকমেইল করে ধর্ষনের অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা থাকায় থানায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
এদিকে তিনদিন আগে ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ স্বপনের বিরুদ্ধে এইচএসসি পাস এক কলেজ ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
ওসি কৃপাসিন্ধু বালা বলেছেন, মামলার প্রেক্ষিতে অপহৃত ছাত্রীকে বগুড়া সদরে বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে তাকে বিধি মোতাবেক পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের অভিযুক্ত ২ নেতার বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই নানা দুর্বৃত্তপনার অভিযোগ ছিলো। সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা বাড়তে বাড়তে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি এবং দুর্বৃত্তপনা একশ্রেনীর নেতা কর্মিদের কাছে রীতিমতো ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে।