জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি নব্য বাকশালী সরকারের দম্ভের বিকৃত প্রকাশ : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৮ পিএম, ৮ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫৯ পিএম, ৫ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
জ্বালানী তেলের লাগামহীন ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও লুটপাটের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন 'প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন সমূহের' ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালায়। এই পৈশাচিক হামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত শুক্রবার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তে জ্বালানী তেলের মূল্য প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধিতে জনজীবনে এক দুর্বিষহ নৈরাজ্য নেমে এসেছে। ফলে কৃষি, শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নজীরবিহীনভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়াতে শুরু করেছে। যখন বিশ্বব্যাপী জ্বালানী তেলের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এটির মূল্য বৃদ্ধি কর্তৃত্ববাদী নব্য বাকশালী সরকারের দম্ভের বিকৃত প্রকাশ।
তিনি বলেন, জ্বালানী তেলের মূল্য কমানোর যৌক্তিক দাবি নিয়ে জনগণ যখন রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেছে তখন সেটিকে দমন করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে 'প্রাইভেট লাঠিয়াল' বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের গণভিত্তি ধ্বসে যাওয়ায় তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরাচ্ছে। নিজেদের লুটপাট, হরিলুট ও দুর্নীতিসহ সকল অপকর্ম ঢাকার জন্যই গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে বাংলাদেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ভোলায় বিএনপি'র শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দু'জন নেতার প্রাণ কেড়ে নেয়ার পর জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করতেই জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। এই সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও নিজেদের পেটোয়া ছাত্রলী-যুবলীগ দিয়ে গোটা দেশকে 'ডেঞ্জার জোনে" পরিণত করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে এই জুলুমের আরেকটি নগ্ন বহিঃপ্রকাশ গতকাল রবিবার শাহবাগে বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের অমানবিক হামলা ও অসংখ্য ছাত্রকে আহত করা। মূলত: গণআন্দোলনের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ায় অবৈধ সরকার কর্তৃক এখন জুলুমের বৈচিত্রময় বিন্যাস দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত।
তিনি বলেন, এরা যে আগামী নির্বাচন, ভোট, একতরফা করার জন্য জনগণের ওপর পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন চালাবে এই পুলিশী হামলায় তারই নমূণা ফুটে উঠেছে। তবে আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই-দুঃশাসনের পরিকাঠামো নির্মাণ করে কেউ বেশিদিন মসনদে বসে থাকতে পারেনি। এদেশের জনগণ কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের একটা নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমি বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।