জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বিএনপি মহাসচিব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ৬ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৭ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সরকারের গণবিরোধী অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, "সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশ এখন দেওলিয়াত্বের পথে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের মিথ্যা ও কল্পকাহিনীর ফিরিস্তি শুনতে শুনতে মানুষ এখন ক্লান্ত ও বিরক্ত। এমনিতে দ্রব্যমূল্যের বেসামাল উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা, তার ওপর গত মধ্যরাত থেকে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও হারাতে বসেছে। গতরাতে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। জ্বালানী তেল যথা কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনের এই দাম বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিদ্যূৎ, কৃষি ও শিল্প উৎপাদনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। খাদ্য পণ্যসহ শাকসবজির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাবে। এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবহন এবং গণপরিবহনের ভাড়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। তাতে মূলত: নিম্ন আয়ের মানুষ চরম সংকটের মধ্যে পড়বে। সরকারের নীতিই হচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে শোষণ করে তাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া। অথচ স্বল্প আয়ের মানুষই জনগণের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
জনগণের প্রতি অনির্বাচিত ভোটারবিহীন সরকারের কোন দায় থাকে না। আওয়ামী স্বৈরশাহী দেশ থেকে গণতন্ত্রশুন্য করেছে যাতে তাদেরকে কোন জবাবদিহি করতে না হয়। বেপরোয়াভাবে নিজেদের লুটপাটের স্বার্থে জনগণের ওপর স্টীম রোলার চালাতে তারা দ্বিধা করছে না।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় এবং জনগণ এই জুলুমবাজ সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলেই জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই সরকার একের পর এক জ¦ালানী, গ্যাস-বিদ্যূৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। যদিও বিশ^বাজারে জ্বালানী তেলের দাম কমেছে। তাই অবিলম্বে রাজপথে নেমে এসে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র কর্তৃব্য। এই জালিম সরকারের কবল থেকে দেশ ও জনগণকে এখনই মুক্ত করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সুতরাং স্বৈরাচারের পতন ছাড়া জনগণের কোন নিস্তার নেই।
জ্বালানী তেলের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানাচ্ছি।"