মাহবুব আলী খান ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক : মেয়র আরিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ৬ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০০ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী, বৃহত্তর সিলেটের কৃতিসন্তান রিয়াল এডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খান ছিলেন একন খাঁটি দেশপ্রেমিক। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে তার অগ্রণী ভূমিকার কথা দেশবাসী আজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মাহবুব আলী খানের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের জলসীমা রক্ষা, তালপট্টি দ্বীপের দখল নিশ্চিত করা, বাংলাদেশের সমুদ্র উপকুল জলদস্যু মুক্ত করার নেতৃত্বে ছিলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসাবে মর্যাদা লাভ করে। এমনকি সেই সময় ভারতীয় নৌবাহিনীও বাংলাদেশের নৌসীমায় প্রবেশের সাহস পায়নি। সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী মাহবুব আলী খানের অবদান চিরস্মরণীয়। তার সময় সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে অনেক সেতু, কার্লভাট নির্মাণ করা হয়। সিলেটের শিক্ষা ব্যবস্থায়ও তার অবদান রয়েছে। তাই জাতি তাকে আজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
আজ শনিবার (০৬ আগস্ট) বাদ জোহর রিয়াল এডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহত্তর সিলেটবাসীর আয়োজনে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার প্রাঙ্গনে এক দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। দোয়া মাহফিল পরবর্তী দুস্তদের মাঝে শিরনী বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচী বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে কবি ও প্রাবন্ধিত সালেহ আহমদ খসরুর সঞ্চালনয় এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী।
ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মাহবুব আলী খানের নাম মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু তা কোন দিনও সম্ভব হবে না। দেশের মানুষ নিজ কর্মের জন্য তাকে আজীবন স্মরণ রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, মাহববু আলী খান সামরিক দায়িত্বে থাকাকালে সুন্দরবন ডাকাতমুক্ত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের নৌসীমা রক্ষায় দেশের স্বার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের দখল অন্যতম ঘটনা। তৎকালীন সময়ে সামরিক কূটনীতিতেও তার অবদান স্মরণীয়। তার প্রচেষ্টায় সামরিক বাহিনী আধুনিক অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত হয়। তাছাড়াও তিনি সরকারের মন্ত্রী থাকাবস্তায় দেশের যে অগ্রগতি হয়েছিল তার অকল্পনীয়। আওয়ামীলীগ সব সময় ইতিহাস বিকৃত করে। তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা উচিত। কিন্তু শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে সেটি হচ্ছে না। কোন কিছুতেই তাকে দেশবাসীর মন থেকে মুছে ফেলা যাবেনা।
দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন- ড. মুহাম্মদ ইকবাল, ড. মোজাম্মেল হক, হাবিবুর রহমান এডভোকেট, সিলেট চেম্বারের পরিচালক জিয়াউল ইসলাম, ওসমানী মেডিকেল ড্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, প্রফেসর ড.খালিদুর রহমান, বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী, ড. শাহ মোহাম্মদ আতিকুল হক, বাকশিস সভাপতি লেঃ মনিরুল ইসলাম, সিলেট চেম্বারের পরিচালক আব্দুস ছামাদ তুহেল, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরমান আলী, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রা লোকমান আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দরে মধ্যে শফিকুর রহমান টুটুল, সিরাজ মিয়া, খালেদ আকবর চৌধুরী, মীর্জা রামিম, আলমগীর কবির মুন্না, আবদুল মজিদ, সাকের আহমদ, মুমিন আহমদ, সোহেল আহমদ, মনজুর হোসেন মজনু, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, লিটন আহমদ, আবু সাইদ মোহাম্মদ তায়েফ,মারুফ আহমদ টিপু, ফজলে এলাহী পাপ্পু, শাহিন আলি, ওবায়দুর রহমান সজিব, আবদুল মন্নান, সামুন আহমদ, সাজন আহমদ, বিমল দেব নাথ, ওমর ফারুক, সুফি আহমদ, আনহার মিয়া, নরুল হক রাজু, সোহেল আহমদ। মহানগর শ্রমিকদল নেতৃবৃন্দর মধ্যে আব্দুল আহাদ, ইউনুস মিয়া, মাসুক এলাহি, নুরুল ইসলাম, ইমরান খান। মহানগর যুবদলের নেতা আবদুস শুকুর। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলতাফ হোসেন সুমন, হাজী মোহাম্মদ দিনার, এডভোকেট নজরুল ইসলাম, সেলিম মিয়া, আফজাল আহমদ, শহিদুলর রহমান বিপ্লব, মিজান আহমদ, জালাল আহমদ, আকিরুল ইসলাম জিসান, আফজাল নাইম চৌধুরী, সেচ্ছাসেবকদল নেতা রজব আহমদ, কাওসার হোসেন রকি, রাজন আহমদ, রাফি আহমদ প্রমুখ।