দুঃশাসনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় সরকার : আবুল হাশেম বক্কর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৪ পিএম, ২ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১২ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, দুঃশাসন জারি রেখেই বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্যই তারা বিরোধী দলকে দমন পীড়নের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। বিরোধী দলের অস্তিত্বই যেন সরকারের কাছে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই হত্যা, নির্বিচার গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য পরিকল্পিত ঘটনা তৈরি করাই এখন সরকারের একমাত্র কর্মসূচি। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সরকার প্রশাসন ও পুলিশকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুুর রহিমকে হত্যা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে জানান দিয়ে দিয়েছে যে, তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমন করতে চায়। কিন্তু ভোলার আবদুুর রহিমের রক্তের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতিকে মেনে নেবে না। দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপি'র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার অনাচার আর কুকীর্তিতে দেশকে ভরিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের লুট, হরিলুট, টাকা পাচার, গুম, খুন আর মহা দুর্নীতির কাহিনি এখন মানুষের মুখে মুখে। মেগা প্রজেক্টগুলোয় মেগা দুর্নীতিতে দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে টেনে নিয়ে আসা হয়েছে। দেশের মধ্যম আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষ জীবনধারণের অবলম্বন হারিয়ে ফেলেছে। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকই এখন নিম্নগামী। দেশের আর্থিক খাত লোপাট করে ফেলেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এসএম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিকদল নেতা শামসুল আলম (ডক), শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, ইসমাইল বালী, জমির আহমদ, মো. ইলিয়াছ, মো. বেলাল, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, হাজী মো. মহসিন, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, আবু সাইদ হারুন, সৈয়দ আবুল বশর, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাসান ওসমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাজী মো. জাহেদ, ফিরোজ খান প্রমুখ।