ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত- ৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ৩১ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৪ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিদ্যুতের লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের আব্দুর রহিম নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত নুরে আলমসহ ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির পালনের জন্য জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করতে সকাল থেকে বিএনপির জেলা কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সমবেত হতে থাকে। ১১টার দিকে জেলা কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নেতাকর্মীরা আহত হলে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আব্দুর রহিম মারা যান।
সদর রোডে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও পুরো শহর পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভোলা সদর থানার ডিউটি অফিসার কবির হোসেন বলেন, 'বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা করা হলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমি শুনেছি এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন। তবে, বিষয়টি আমি নিশ্চিত না।'
ভোলা সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নিরুপম সরকার বলেন, 'সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।'
বিএনপি নেতাদের দাবি, 'বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বিনা উষ্কানিতে পুলিশের গুলি ও নারকীয় তাণ্ডবে যুবদল কর্মী আব্দুর রহিম শাহাদাত বরণ করেছেন এবং আহত হয়েছেন আরও শতাধিক নেতা-কর্মী।'