আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে দ্বিগুণ, খরচ কমেছে অর্ধেক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৫ পিএম, ৩১ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৪ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গেলো বছরের তুলনায় আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে দলটির খরচ কমেছে প্রায় অর্ধেক। ২০২১ সালে দলটির আয় ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা ও ব্যয় ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা। ২০২০ সালে তাদের আয় ছিল ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা ও খরচ ছিল ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এতে দেখা যায় এক বছরের তুলনায় সংগঠনটির আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। বিপরীতে ব্যয় কমেছে দেশের বৃহত্তম এ রাজনৈতিক সংগঠনটির।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া গত এক বছরের আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ রবিবার (৩১ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ূন কবীর খোন্দকারের কাছে এ হিসাব জমা দেন দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান।
আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রধান উৎস দেখিয়েছে মনোনয়ন ফরম ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি থেকে আগত টাকা। এছাড়া সংগঠনটির সম্পতি থেকেও আয় হয়েছে বলে জানায় তারা।
হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালের তুলনায় আয় বেড়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৫৭৩ টাকা। অন্যদিকে ২০২০ সালের তুলনায় খরচ কমেছে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৯ টাকা।
খরচ কমার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কোভিড চলাকালীন দলীয় নেতা-কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ২০২০ সালের তুলনায় কম হয়েছে। এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালনা, অফিস ভাড়া ও প্রচার ও প্রকাশনাকে ব্যয়ের খাত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
কমিশনে জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সংগঠনটির উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ২৬ হাজার ২৬৪ টাকা। যা ২০২০ সালের তুলনায় ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৩ টাকা বেশি।
এদিকে আওয়ামী লীগের স্থিতি রয়েছে ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৬ টাকা। যা ২০২০ সালে ছিল ৫০ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা। অর্থাৎ গেলো বছরের তুলনায় সংগঠনটির স্থিতি ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকা বেশি।
অন্যদিকে এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপির বার্ষিক আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় বিএনপির আয় কমেছে ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৮১৯ টাকা। অন্যদিকে ব্যয় বেড়েছে ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭১ টাকা। ২০২০ সালে বিএনপির আয় হয়েছে এক কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৯ টাকা। ব্যয় দেখানো হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ঘাটতি এসেছে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ টাকা।
মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর কোন খাত থেকে কত টাকা আয় হয়েছে, কত টাকা ব্যয় হয়েছে, বিল-ভাউচারসহ তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হয়। যা রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরপর তিন বছর কমিশনে আত ব্যয়ের প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।