নারায়ণগঞ্জে পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১৪ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২০ এএম, ৬ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধ্বনিকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বেলা পৌনে ১২ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতাল চত্ত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাগর প্রধান।
বিক্ষোভ সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, স্বৈরাচারী মাফিয়া সরকার বিএনপির জন-সমর্থন দেখে ভয় পেয়ে গেছে। তাই নেতাকর্মীদের রাজপথ থেকে সরানোর জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করছে। যাতে করে আন্দোলন সংগ্রামে কোন নেতাকর্মী ভয়ে রাজপথে না থাকে। কিন্তু হাসিনা সরকার ভুলে গেছে শহীদ জিয়ার সৈনিকরা মৃত্যুকে তালুবন্দি করে রাজপথে নেমেছি। গুম, খুন, হত্যা করে আমাদের রাজপথ থেকে সরানো যাবে না। তারা আমাদের উপর যতই নিযার্তন চালাবে আমরা ততই শক্তিশালী হবো। কারন আমাদের মুল শক্তি এদেশের আপামোর জনতা।
মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধ্বনির মত নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করার মত ঘটনা এই অবৈধ সরকারের অধীনেই সম্ভব। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সময় এসেছে পালাবার পথ পাবেন না। এদেশের জনগণের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে সকল গণতন্ত্র হরন, মামলা, হামলা, গুম, খুন ও দুনীর্তির হিসাব দিতে হবে। ভুলে যাবে না আমরা বাঙ্গালী জাতি দেশের প্রয়োজনে বুকের তাঁজা রক্ত দিতেও পিছপা হইনা।
এর আগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন ইউনিট থেকে যুবদল নেতাকর্মীরা নগরীর খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতাল চত্ত্বরে জরো হতে শুরু করে। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় খানপুর হাসপাতালের সামনে গেলে, সদর থানা পুলিশ তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও। নেতাকর্মীদের তোপের মোখে পরে সরে যেতে বাধ্য হয়।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এম সাগর, মহানগর যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম, ডা.মঞ্জুরুল আলম মুছা, শহীদুজ্জামান সেলিম, আলী ইমরান শামীম, নবু হোসেন, জামাল প্রধান, শাহ জালাল কালু, নুরুজ্জামান, ওসমান গনি, আরাফাত, রাজু, মনির, আশিক, ফারুক, ইব্রাহীম ১, রাশেল বেপারী, মুকুল, রিক্সন, নুরে এলাহী সোহাগ, শাহীন, এ এইচ সৌরভ, ফরহাদ, নুর আলম, সাগর, সাইদুল্লাহ রোমান, নাছির উল্লাহ টিপু, জোবায়ের, রমজান বেপারী, শাহ-আলম, ইব্রাহীম প্রমুখ।