কুষ্টিয়ায় সাবেক যুবলীগ নেতা জেড এম সম্রাট র্যাবের হাতে গ্রেফতার, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৩ পিএম, ৬ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩২ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুষ্টিয়া পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জেড এম সম্রাটকে আটক করেছে র্যাব-১২।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান।
তথ্য সূত্রে, ৪জুলাই সোমবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া আগা ইউসুফ মার্কেটের ৩য় তলায় র্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে, সেখান থেকে অস্ত্র, মাদক ও ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়। এ সময় সম্রাট ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম এবং পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহানা সুলতানা বনির ছেলে জেড এম সম্রাট (৩৩), দুই সহযোগী যথাক্রমে পশ্চিম মজমপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুলের ছেলে দীন ইসলাম রাসেল (৩৩) এবং জুগিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওসমান হাসান (৩১)। মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, টেন্ডার জিম্মি, সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি করে আসছিলেন সম্রাট।
তার কার্যালয়ে উদ্ধারকৃত মালামাল পাওয়া গেছে। এমনকি টর্চার সেল তৈরী করে রেখেছিলো, নিজের মতের বাইরে গেলেই কার্যালয়ে এনে টর্চার করতেন তিনি ও তার সহযোগীরা। নির্যাতনের পর মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করতেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, একাধিক অভিযোগ ও জিডির পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের অভিযানিক দল সম্রাটের মজমপুরস্থ অফিস কাম টর্চার সেলে অভিযান চালায়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে আট রাউন্ড গুলিসহ একটি ওয়ানশুটারগান, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য, চারটি ওয়াকিটকিসহ বেশকিছু সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। এ সময় সম্রাটসহ তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়। পরে অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানান।
সম্রাটের মা কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাহানা সুলতানা বনি অভিযোগ করে বলেন, 'আমার ছেলেকে রাজনৈতিক নেতারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করে। যখনই এদিক ওদিক হেরফের হয় তখনই আবার র্যাব পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এর আগেও আরও একাধিকবার র্যাবকে দিয়ে আমার ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছে।