দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা-কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩২ এএম, ২১ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৭ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে যে কোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিদ্রোহী ও তাদের মদদদাতা, তাদেরও কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। পরবর্তী ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে যে কোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে বা কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ বুধবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন।
করোনাকালে অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে যে উদ্যোগ চালানো হয়েছিলো তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অথচ বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা বলছে, সরকার নাকি করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছিলো লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং আল্লাহর রহমতে এখোনা তা হয়নি বলেই বিএনপি নেতাদের আক্ষেপ। এজন্য তারা মনযন্ত্রণায় ভুগছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা যখন মানুষের কল্যাণে দিবারাত্র সেবা দিয়েছে, তখন বিএনপি উটপাখীর মতো বালুতে মাথা লুকিয়ে রেখেছিলো। আর এখন নির্লজ্জভাবে বলছে, সরকার ব্যর্থ।
তিনি বলেন, বিএনপি করোনা টিকা নিয়ে আগাম অপপ্রচার শুরু করছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে যে কোনো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের রাজনীতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ও দেশের সফলতা এবং অর্জন বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরায়। তাদের আমলে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিলো। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করে না।
তিনি বলেন, করোনার অভিঘাত যেভাবে সরকার সফলতার সাথে মোকাবিলা করেছে এবং করোনার টিকা সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও টিকা প্রদান কাজও স্বচ্ছতা, সফলতার সাথে সম্পন্ন করবে শেখ হাসিনা সরকার ইনশাআল্লাহ। বিএনপির কাজই হচ্ছে বসে বসে মিথ্যাচার করা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচার আর অন্ধ সমালোচনা ছাড়া তাদের অন্য কোনো সক্ষমতা নেই।
পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নিশ্চয়তা, চাকরির নিরাপত্তা এবং শ্রমিক কল্যাণ ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। দেশে ৪৩টি শিল্প সেক্টরের মধ্যে ৪০টি সেক্টরে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি শতভাগ বৃদ্ধি করে আট হাজার তিন শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষিকে শিল্পে রূপান্তরের পাশাপাশি সরকার কৃষি কাজে নিয়োজিতদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। সভায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) আবদুল হাফিজ মল্লিক ও সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান সিরাজসহ উপকমিটির অন্যান্য সদস্যরা।