“হাসিনা সরকার আমলা ও প্রশাসনের ক্যু করা ভোট চোরা সরকার”
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৬ পিএম, ২৭ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেছেন, এই সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে বানভাসি মানুষের প্রতি তাদের গুরুত্ব নেই। সিলেটবাসি পানি ডুবছে। তাদের পেটে ভাত নেই। অথচ হাসিনা সরকার বিএনপির সময় করা পদ্মাসেতু নিয়ে উৎসব করছে। বন্যার্তরা না খেয়ে থাকলেও কোটি কোটি টাকা পদ্মাসেতু উৎসবে খরচ করছে। বাজি ফুটিয়ে আনন্দে মেতে উঠছে। তিনি বলেন, এই সরকার প্রশাসন ও আমলাদের ক্যু করা সরকার বলেই আজ আমলাদের বেতন বাড়ে। তারা বৈশাখী ভাতা পায়। অথচ জনগন আজ অবহেলিত। দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ চিড়েচ্যাপ্টা হচ্ছে। কৃষক ফসলের মুল্য পাচ্ছে না। সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে নিজেদের লুটপাটের দায় জনগনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। তাই এই ভোট চোর সরকারকে আর এক মুহুর্তে দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
আজ সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের ঝিনাইদহ আহবায়ক অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ, কেন্দ্রীয় নেত্রী অ্যাড. নেওয়াজ হালিমা আরলি, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, আকতারুজ্জামান, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, অ্যাড. শামছুজ্জামান লাকি, সাজেদুর রহমান পাপপু, ফিরোজা বুলবুলি কলি, তছলিমা খাতুন ছন্দা, ফারিয়া আক্তার ও মহিলা দল নেত্রী তহুরা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আফরোজা আব্বাস বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধিন নির্বাচন দিয়ে দেখেন জনগণ কাকে ভোট দেয়। এ সরকারের আমলে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, ভোট চোর, গণতন্ত্র হত্যাকারী এই সরকার খুন গুমের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে আজ বিশ্ব থেকে বিচ্ছন্ন।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের এমপি মন্ত্রীরা লুটপাট করে দেশের সম্পদ সুইচ ব্যাংকে পাচার করেছে। তাদের মুখে এখন সততার বুলি। মানুষ এখন আর কথিত উন্নয়নের ভেজাল বড়ি গিলবে না। সম্মেলনে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলা ও পৌরসভা থেকে বিপুল সংখ্যক নারী যোগ দেন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতা কর্মিদের মাঝে বিপুল উৎস্যাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। দীর্ঘ দেড় যুগ পরে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজিকে সভাপতি, তহুরা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক ও ফারহানা রেজা আনজুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট ঝিনাইদহ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের কমিটি গঠন করা হয়।