চট্টগ্রাম এখন জনবিচ্ছিন্ন নগরীতে পরিণত হয়েছে : ডা. শাহাদাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ পিএম, ১৯ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪০ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,চট্টগ্রাম এখন জনবিচ্ছিন্ন নগরীতে পরিণত হয়েছে। আমরা বারবার যেটা অনুমান করছিলাম বর্ষার মৌসুম আসার আগেই জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে পুরনো নগরী জলে ডুবে যাবে সেই আশঙ্কা সত্যি হলো। বর্ষার মৌসুম শুরুতেই আজ পুরো নগরী জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হয়েছে। কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী হতে সর্ব শ্রেণীর মানুষকে আজ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির কারণে আজ নগরীর এই বেহাল দশা। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয় বলেই,জনগণের কল্যাণে এই সরকার কোন কাজ করছে না। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় নয় তাই জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। অন্যদিকে আকবরশাহ এলাকায় পাহাড়ধসে এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। যারা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এই পাহাড় ধসে প্রতিবছরই নিহত হয়। কিন্তু কোনো স্থায়ী ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না সরকার। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এটা রোধ কখনোই সম্ভব না। ভূমি মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে পাহাড়ের পাদদেশে যারা আছে তাদেরকে পুনর্বাসন করলে স্থায়ীভাবে পাহাড় ধসে মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। প্রতিবছরের পাহাড় ধস হওয়ার পরে যখন মানুষ হতাহত হয় পরবর্তীতে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এটা কোন স্থায়ী সমাধান না। তাদেরকে পুনর্বাসন এর মাধ্যমে ঐ এলাকা থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
আজ রবিবার পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় ধসে নিহত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আমরা বিএনপি'র পক্ষ থেকে প্রতিবছরই দাবি করে আসছি ভূমিধসের স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। কিন্তু সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানো হলেও সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যার প্রেক্ষিতে প্রতি বছরে পাহাড়ধসে এভাবে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তারা জনগণের সরকার নয়।
পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার সেলিম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জমির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, থানা বিএনপির সহ সভাপতি রেহান উদ্দিন প্রধান, যুগ্ম সম্পাদক পলাশ চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মাস্টার, ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি আবু হানিফ, সম্পাদক মন্ডলী সাহাব উদ্দিন, শেখ জামিল, শফি মাস্টার, মীর জাহাঙ্গীর, আকবরশাহ থানা জাসাস সভাপতি আঃ হান্নান শিবলী, আকবরশাহ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ইউনুছ, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সহ সম্পাদক তাজ উদ্দিন লিটন, বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, বাচ্চু মেম্বার, ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান রাজু, শামীম আহমেদ, থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির আহমেদ সোহেল, এছাড়াও ইকবাল হোসেন, আব্দুল হাকিম, জসিম উদ্দিন, ঈমাম উদ্দিন তারেক, কাউছার হিমেল, অপু চৌধুরী, আকবর, ইব্রাহিম হোসেন সাদ্দাম, জাহিদুল, নাজিম, কাউছার, মোঃ সাল্লু, মোঃ মনি, মোঃ বেলাল, সবর, রুবেল হোসেন, ছাত্রদল নেতা ইকবাল, মোঃ শাহিনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।