খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারকে নিতে হবে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ১২ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৫১ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোনো অঘটন ঘটলে পরিণতি কঠিন হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার দ্রুত বিদেশে প্রেরণ ও তাঁর মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশে হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে আসে।
বেগম খালেদা জিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল তাঁর হৃদপিন্ডে একটি ব্লক অপসারণ করে রিং বসানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি বলতে চাই, সরকারকেই দায় নিতে হবে। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আল্লাহ না করুক যদি কোনরকম অঘটন ঘটে তাহলে এদেশের মানুষ আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না। টেনে হিঁচড়ে আপনাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে। আমি শুধু পরিষ্কার বলতে চাই যে, আমাদের শেষ কথা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। অন্যাথায় তাঁর সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কেনো দেশনেত্রীকে আটক রাখা হয়েছে, কেনো তাঁকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না? যখন তাদের (সরকার) সলিম উদ্দিন-কলিম উদ্দিন সব বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে, সাজাপ্রাপ্ত লোকরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে, কেউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যায়। তখন বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় নেতা গণতন্ত্রের জন্য সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা করতে দেয়া হয় না কেনো? কারণ তিনি (খালেদা জিয়া) হচ্ছেন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের, এই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ভয়। দেশনেত্রী যদি বেরিয়ে আসেন, তিনি যদি রাস্তায় নামেন, তিনি যদি মানুষকে ডাক দেন, সেই ডাকে হ্যামিলনের সেই বংশীবাদকের মতো সব বেরিয়ে আসে রাস্তার মধ্যে। সেজন্য তারা (সরকার) তাঁকে আটকিয়ে রেখেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মূল কারণ হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া। এই ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকার এবং তার অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে, দুদককে নিয়ন্ত্রণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের চিকিৎসকদের অত্যন্ত সময়োচিত পদক্ষেপ এবং চিকিৎসার কারণে অতিদ্রুত স্টেন্টিং করে তাঁর আজকে লাইফ সেইভ করা হয়েছে। এটাই তাঁর শেষ না। তাঁর অনেক অসুখ আছে। লিভার সিরোসিস আছে, আর্থ্রাইটিস আছে, হার্ট ডিজিস আছে, কিডনি ডিজিস। এর জন্য দরকার উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র। সেটা আমাদের দেশে নেই। ডাক্তারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার যেটা বিদেশে আছে। সেজন্য আজকের এই প্রতিবাদ সভা। আমরা বার বার সরকারকে অনুরোধ করেছি, আন্দোলন করেছি, কর্মসূচি দিয়েছি। এখন সোজা কথায় বলতে চাই, কালকে ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, সরকার কোনো দায় নেবে না। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, সরকারকেই দায় নিতে হবে। কারো কাছে আমি মাথানত করিনি-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য খন্ডন করে মির্জা ফখরুল বলেন, এরশাদ সাহেব ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ যখন ক্ষমতা দখল করেন তখন উনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, উই আর নট আনহ্যাপী, আমরা অখুশি নই। আবার ১/১১ যখন অবৈধ সেনা সমর্থিত সরকার হলো তখন আপনি এয়ারপোর্টে ঘোষণা দিয়েছিলেন এই অবৈধ সরকারের সব অবৈধ কাজকে বৈধ করে দেবেন। আমাদের ম্যামোরি এখনো সর্ট হয়নি। সেই জন্য আমরা বলি যে, আপনারা বরাবরই আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছেন, আপনারা বরাবরই ওই শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে, যারা বরাবরই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের কথা স্পষ্ট। তাঁকে বিদেশে পাঠাতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর বাইরে দেশের মানুষ কিছু মেনে নিতে প্রস্তুত না। এখনো কিছুটা সময় আছে। রক্ষা পেতে পারেন। এরপর আর পালাবার পথ পাবেন না। সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। যে দুর্বার আন্দোলন হবে তাতে আপনাদের রক্ষা হবে না। বাজেটের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তো দূরের কথা, বাস্তবে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি সরকার। বরং কেমনে বাড়ানো যায় সেটা করেছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়েনি। অথচ করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা ফুটে উঠেছে। পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এতদিন টাকা পাচার করেছেন। কানাডা, অস্ট্র্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে, বেগম পাড়ায় বাড়ি করেছেন এখন সেগুলো জায়েজ করতে কর দিয়ে টাকা ফেরত আনার কথা বলেছেন। বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে উল্লেখ করে আন্দোলনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টূকু, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, তানভীর আহমেদ রবিন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ ।
এছাড়াও সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিদ্র ইসলাম অমিত, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম মুন্না, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, সাবেক সহ-সভাপতি এসএম হাজাঙ্গীর হোসেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি আনু মোহাম্মাদ শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, রফিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সর্দার নুরুজ্জামান, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ সিদ্দিক সাজুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদুল, সহ- সভাপতি মোঃ রাজীব আহমেদ, মিরপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলু, দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ মৃধা, দারুসসালাম থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, শাহ্আলী থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শামীম, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফেজ লিটন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক বশির আহম্মেদ, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মীর আবু বক্কর সিদ্দীক মাকসুদ, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রতন, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ স্বপন, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মনসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার দিল খায়ের শিপু, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন মেজবা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, ৯৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন ভুট্টো, শাহ্আলী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান দেওয়ান, মিরপুর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজালাল সম্রাট, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোহেল রহমান, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ ইকবাল মাহমুদ রিপন, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কে, এম, ইয়াহিয়া সামী, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাহবুবুর রহমান, ১২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রুবেল হোসেন, শাহ্আলী থানা ছাত্রদলের রায়হান ইসলাম, মিরপুর থানা ছাত্রদলের মেহেদী, দারুসসালাম থানা ছাত্রদলের রানা, রুমন আহম্মেদসহ ঢাকা-১৪ আসনের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে আগত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বিবৃতি : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। তাঁকে জরুরিভাবে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি চরম নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করছে। তারা বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যার প্রমাণ তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি না দেয়া। অথচ খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর মেডিক্যাল বোর্ড বার বার পরামর্শ দিচ্ছেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি। ফলে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা চরম আশঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের জীবন হুমকির মুখে।
ডা. ডোনার বলেন, সরকার বার বার আইনের দোহাই দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। অথচ মানবতার কাছে আইন কোনো বিষয় নয়। সিনিয়র আইনজীবীদের মতে- প্রচলিত আইনেই খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমরা সরকারের এহেন অগণতান্ত্রিক ও বেআইনী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বেগম খালেদা জিয়া কোনো সাধারণ নারী নন। তাঁকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেয়াটা সত্যিই বেদনাদায়ক, অমানবিক, নিষ্ঠুরতা ও নজিরবিহীন ঘটনা।
ডা. ডোনার বলেন, বিশেষ বিবেচনায় অতীতে অনেক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমা পাওয়ার নজির রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক ক্ষমা করার বিধান রয়েছে শুধু চরম মানবিক বিষয় বিবেচনার জন্য। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো- খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক হোন। মানবিক দিক বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিন। না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।