বেগম খালেদা জিয়া হার্ট অ্যাটাক করেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ১১ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫০ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হার্ট অ্যাটাক করেছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার (১১ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল রাতে তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তি করার পর উনার আরেকটি উপসর্গ দেখা দেয়। উনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
তিনি জানান, চিকিৎসকরা তার এনজিওগ্রাম করেন। এতে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসকরা সফলভাবে সেখানে রিং বসান। চিকিৎসকরা আশা করছেন, তিনি হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, গত রাতে খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্টঅ্যাটাক হয়েছে। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কর্ণপাত করছে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
গতকাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়।
এর আগে অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, একুয়েট করোনারি হার্টঅ্যাটাক হয়েছে খালেদা জিয়ার।
সেটি পর্যবেক্ষণের পর অতিদ্রুত খালেদার হৃদযন্ত্রে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড। একই সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে বলে বোর্ড।
অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে খালেদা জিয়া বাসা থেকে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে বের হন।
এর পর ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন-উজ জামান ও অধ্যাপক সামস মনোয়ার রয়েছেন এই বোর্ডে।
সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এ বৈঠকে যোগ দেন।
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এর আগে আড়াই মাস হাসপাতালে থাকার পর ফেব্রুয়ারির শুরুতে গুলশানের বাসায় ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া।
শুক্রবার মধ্যরাতে যখন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অন্যান্য নেতারা।