চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা শামসুল হক এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ৯ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৩৫ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা শামসুল হকের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শামসুল হক স্মৃতি সংসদ ও তার পরিবারের উদ্যোগে বাদে জোহর এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব। পরে বাইশ মহল্লা চৈতন্য গলি কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য মরহুম শামসুল হক ছিলেন ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক। তিনি দলের একজন দায়িত্বশীল ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে তিনি কখনোই নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি তার স্বল্পপরিসরের জীবনকালকে দলের কল্যাণে অকাতরে ব্যয় করে গেছেন। দলের সব সংকটকালে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। চট্টগ্রামে বিএনপি ও যুবদলকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসিম। বর্তমান স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে শামসুল হকের মতো নির্ভীক নেতার বড় বেশী প্রয়োজন ছিল। দলের প্রতি তার অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে। তিনি মরহুম শামসুল হকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মরহুম শামসুল হক একজন কর্মীবান্ধব দক্ষ সংগঠক ছিলেন। দলের দুঃসময়ে তিনি যুবদল ও বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছেন। আন্দোলন সংগ্রামে তিনি যে ভুমিকা রেখেছেন তা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কখনোও পুরণ হবার নয়। মৃত্যুর এক বছর পরও সে আমাদের মাঝে স্বমহিমায় উজ্জল ও অমলিন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শামসুল হক একজন দল অন্তপ্রাণ ব্যক্তি হিসিবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সৎ, সাহসী ও বিনয়ী মানুষ। শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ছিলেন তিনি। ওয়ান ইলেভেনের কঠিন সময়ে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দিন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।