দারুস সালাম থানার ৯, ও ১০ এবং শাহ আলী থানার ৮ ও ৯৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৪ এএম, ৮ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
আজ ঢাকা মহানগর উত্তর দারুস সালাম থানাধীন ০৯, ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড এবং শাহ আলী থানাধীন ০৮ ও ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি'র সম্মেলন বেলা ২টায় শুরু হয়ে বিকেল ৮টা পর্যন্ত চলে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জনাব ইকবার হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র আহবায়ক ও ডাকসু'র সাবেক ভিপি জনাব আমান উল্লাহ আমান। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র সদস্য সচিব ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জনাব আমিনুল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে যথাক্রমে আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আতিকুল ইসলাম মতিন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মোঃ আক্তার হোসেন, মোস্তফা জামান এবং দারুস সালাম থানা বিএনপি'র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ঢাকা-১৪ আসনের প্রার্থী জনাব এস এ সিদ্দিক সাজু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, মোঃ আফাজউদ্দিন, হুমায়ুন কবির রওশন, হাফিজুর হাসান শুভ্র, হাফিজুর রহমান সাগির, আমজাদ হোসেন মোল্লা, এ্যাড. আফতাব উদ্দিন জসিম, এ বি এম এ রাজ্জাক, আহসান হাবিব মোল্লা, জিয়াউর রহমান, বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান মাসুদ খান, হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলু, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, হাজী আব্দুল মতিন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন- আবু সাইদ দীপু
প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে জনাব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের এই প্রিয় দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের সংগ্রামে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের এই দীর্ঘ সংগ্রামে আমরা আমাদের বহু নেতাকর্মীকে হারিয়েছি, তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য, আমাদের শত শত নেতাকর্মী পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, হাজার হাজার নেতাকর্মীর জীবন-সহায় সম্পদের ওপর নেমে এসেছে পৈশাচিক বিভিষিকা, নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। এত অত্যাচার ও নির্যাতনের পরেও আমাদের নেতাকর্মীরা হারানো গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের এই সংগ্রামে থেমে থাকেনি, যখনই দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের আহবান করা হয়েছে তখনই তারা সেই আহবানে জীবনবাজী রেখে সাড়া দিয়েছেন, আগামীতেও সাড়া দিবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৭১টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে তাতে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে। আগামীর আন্দোলন-সংগ্রাম জোরালো করতে নেতাকর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা সফলতা আনবেই।
বিশেষ অতিথি'র বক্তব্যে জনাব আমান উল্লাহ আমান বলেন, রাজনীতির ময়দানে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে জনসমর্থনে পরাজিত বলেই অসত্য ও বানোয়াট মামলা দিয়ে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে আটক করে রেখেছে। আজ সামগ্রিকভাবে ক্ষমতাসীন স্বেচ্ছাচারী কর্তৃত্ববাদী বাকশালী দলটি বিএনপি'র বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অবৈধ ক্ষমতার জোরে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বিএনপি'র সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীকে পর্যন্ত হয়রানী ও হেনস্তা করে যাচ্ছে।
আমাদের সংগ্রামের লক্ষ্য মানুষের গণতান্ত্রিক মুক্তি, আমাদের এই সংগ্রামের গন্তব্য দেশকে স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্ত করা। বিএনপি'র যেকোন কর্মসূচি চলাকালে জনমানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণের ঢল থেকে ফ্যাসিষ্ট সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তখন তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অত্যন্ত নির্মমভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ণ চালায়। কিন্তু এভাবে দমন-পীড়ণ চালিয়ে জনগণ তথা বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে আর দমাতে পারবেনা সরকার।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জনাব আমিনুল হক বলেন, এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ বিএনপি'র দিকে তাকিয়ে আছে মুক্তির আশায়। বর্তমান অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ বাকরুদ্ধ। আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে যে তাদের জনপ্রিয়তা শুণ্যের কোঠায়, আর এ কারণেই নিজেদের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণ চালিয়ে যাচ্ছে। বাধভাঙ্গা জনস্রোতের ভয়ে বিএনপি'র মতো একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশেরও অনুমতি দেয়া হচ্ছে না, কোন কোন ক্ষেত্রে অনুমতি দেয়া হলেও সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে সশস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। আওয়ামী দু:শাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ এবং প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে ঠিক তখন ক্ষমতালোভী বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গণবিষ্ফোরণের আশঙ্কায় মানুষকে ভয় পাইয়ে দিতে জুলুমের শাসন শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার সারাদেশে গুম, খুন, অপহরণসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার এবং আদালতকে দিয়ে সাজা প্রদান ইত্যাদি দুস্কর্ম সংঘটন করতে উন্মাদ হয়ে গেছে। সম্প্রতি আবারো গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকারের তাতে কোন মাথা ব্যাথা নেই, কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানী ও আহত হওয়ার ঘটনা আওয়ামী সরকারের অদুরদর্শিতারই পরিচয় বহন করে। রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকার এখন নতুন নতুন ইস্যু তৈরীতে ব্যস্ত। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র নেতাকর্মীরা এখন ঐক্যবদ্ধ। আগামীতে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের ভয়াবহ দু:শাসন মোকাবেলায় নেতাকর্মীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।