সব কিছুর দাম বাড়ছে আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে : ড. খন্দকার মোশাররফ

বর্তমান সরকার দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ নয়। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষ অনাহার, অর্ধাহারে আছে। সব কিছুর দাম বাড়ছে আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

আজ রবিবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা  বলেন।  

মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল আকাঙ্ক্ষা ধুলায় মিলিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার এমন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সরকার থাকলে দ্রব্যমূলের এতো উদ্ধগতি হতে পারতো না। সিন্ডিকেটের পেছনে রয়েছে সরকার। জনগনের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই সরকারের। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সরকার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূলের দাম বাড়িয়েছে। 

বিএনপি এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলো, এবার আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এক হয়েছে। একটা সুষ্টু নির্বাচন এখন বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, শহীদ জিয়া বিপ্লবের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় এসে, দেশের মানুষকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। আর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী হিসেবে রূপ নিয়েছে। যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন জিয়ার নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। শহীদ জিয়া যেভাবে দেশে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন সেভাবে তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করবে। 

ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে হুশিয়ার করে তারা বলেন, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগ নামধারীরা সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়েছে। হামলা ও মামলা দিয়ে ছাত্রদলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। গত কয়েকদিন যাবত ছাত্রদলের শরীর থেকে যে রক্ত বের হয়েছে সেই রক্তের হিসেব নেয়া হবে। ছাত্রদের আঘাত করে কেউ টিকতে পারেনি। অবৈধ সরকার আমাদের ছাত্রদের উপর আঘাত করেছে, এই সরকার আর টিকতে পারবে না। 

আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রপাগাণ্ডা চলছে যে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ভুল করেছে তাই দোষ চাপাতে শেখ হাসিনাকে হত্যার কথা বলছে। জনগনের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। এদের অধীনে আমরা নির্বাচন করবো না, কিন্তু আওয়ামী লীগকে আর রাতের ভোটও করতে দেয়া হবে না। 

এছাড়া ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ ছাত্রদল ও বিএনপি, যুবদলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।