কালীগঞ্জে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

স্বাধীণতার মহান ঘোষক, রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আলোচনা সভা, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ রবিবার (৫ জুন) সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে তুমলিয়া ইউনিয়নের বরতুল গ্রামে সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলন’র বাড়ি আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মাষ্টার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু’র পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী ছায়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কালিয়াকৈর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান প্রমূখ। 

প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন আরমান মাষ্টার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা প্রমূখ।

এছাড়া অন্যান্যের মাঝে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মোর্শেদ আলম মিন্ট, মো. আলমগীর হোসেন স্বপন, রফিজুল ইসলাম দর্জি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ মৃধা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, ওলামা দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি ফজলুল হক মিলন বলেন, শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ, খালেদা জিয়ার উন্নয়নের বাংলাদেশ, তারেক জিয়ার সুযোগ্য নেতৃত্বের বাংলাদেশ। আজ দেশে কোন গণতন্ত্র নাই, স্বাধীণতা নাই, মতপ্রকাশের অধিকার নাই। এই বাংলাদেশে অরাজকতা, হত্যা, খুন, গুম, রাহাজানি সহ লুটতরাজ চলছে। আজ খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ, তারেক রহমান দেশান্তরী, গনতন্ত্র নির্বাসিত। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় ঘটিয়ে দেশে অবাদ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করি।