এ দেশ আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি না : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৪ পিএম, ৪ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২১ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজারে পেয়াজ নেই, কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। ডলারের ফটকাবাজি চলছে। মানুষ বলছে এই যে কৃত্তিমভাবে যে মাফিয়ারা বাজারে সিন্ডিকেট করছে তাদের কারণে এ অবস্থা হয়েছে। দেশের রাজনীতি অর্থনীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা এগুলো দেখিয়েছেন।
আজ শনিবার (৪ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি এলাকায় জেলা যুবদলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে গরিব নারীদের সেলাই মেশিন ও পুরুষদের নগদ অর্থ-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির উদ্যোগে সভাপতিত্ব করেন, জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল প্রমুখ।
তিনি বলেন, রোজার মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বাজার সিন্ডিকেটের হোতাদের ডেকে বলেছে বাজার সিন্ডিকেটে যে দাম বাড়াবি এই টাকা যেন আমাদের পকেটে আসে ঠিকমত। এখানে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয়রাও ছিল। তারা তাই করেছে এবং তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদসহ প্রত্যেকে এই টাকার ভাগ পেয়েছেন। এখন মানুষ বলে আওয়ামী লীগ করলেই মানুষ চোর হয় নাকি চোররাই আওয়ামী লীগ করে এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। তা না হলে আশেপাশের কোন দেশের তেলের দাম চালের দাম বাড়ল না। আর এখানে বৃদ্ধি পেয়ে গেল এর কারনকি। কারন সিন্ডিকেটের মাফিয়ারা আওয়ামী লীগের লোক। তারা সকলে মিলে টাকা লুট করেছেন। আর এদেশের সাধারণ মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রনায় আর্ত চিৎকার করছে।
তিনি আরোও বলেন, তারা অত্যন্ত সাবধান, প্রতিবাদ ছাত্ররা করে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে। এখনও তারা চিকিৎসাধীন। ওদের বিবেক মনুষ্যত্ব কিছুই নেই। ওদের টার্গেট প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারির ব্যাপারে আপনারা জানেন। পত্রিকায় তাদের টেন্ডারের খবর ছাপা হয়েছিল। এই সরকার ছাত্রদের টেন্ডারবাজ বানিয়েছে চাঁদাবাজ বানিয়েছে। স্কুল কলেজে লেখাপড়া হল কী হল না সেটা তাদের দেখার বিষয় না তাদের কাজ বিরোধী দল যেন টু শব্দ না করতে পারে।
রিজভী বলেন, গত পরশু দিন পুরান ঢাকায় কয়েকটা স্পটে শাহাদাৎ বার্ষিকীর তবারক বিতরণ হবে। তারা ডেক নিয়ে চলে গেছে। খুলনায় পুলিশ খিচুড়ির হাঁড়ি নিয়ে চলে গেছে। বিরোধী দল ক্ষুধার্তদের খাবার দিবে সেখানেও তারা পাতিল নিয়ে চলে যায়। মিছিল শুনলেই তারা নেকড়ের মত লাফ দিয়ে পড়ে। কারণ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তারা অনেক সুবিধা নিয়েছে। তারা জানে আওয়ামী লীগ না থাকলে তাদের অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতির বিচার হবে।
তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম কোরআন হাদীসের আলোকে খুতবা দেন। সেখানেও তারা হস্তক্ষেপ করেছে। সেখানেও তারা নিজেদের লোক বসাতে চায়। তারা ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপরও হস্তক্ষেপ করছে। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে স্টেটমেন্টও দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এ দেশের মসজিদগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। কারণ তারা ভোটারবিহীন। তারা নির্বাচন ভোট এসকল বিষয়ে বিশ্বাস করে না।
এ দেশ আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি না। এখানে আমাদেরও অধিকার আছে। আমরাও এ দেশের মানুষ। কেউ যদি আমাদের প্রজা বানাতে চায় আমরা এটা মানবো না। আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবই এবং গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা রিজভী।
রিজভী বলেন, আপনি দিনে ভোট করতেও ভয় পান। আপনি ভিতু প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালে রাতে ভোট করেছেন, ২০১৪ সালে কেউ ভোট দিতে যায়নি। এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বানিয়েছেন নিজের দলের লোক দিয়ে। আওয়ামী ক্যাডাররা সশস্ত্র, পুলিশরাও সশস্ত্র। এসব বাদ দিয়ে রাস্তায় থাকুন আমরাও রাস্তায় নামব দেখি আপনাদের কয়জন বীর পুরুষরা রাস্তায় থাকে।
তিনি বলেন, আপনি টুস করে নাকি ফেলে দিবেন। গায়ের জোরে কথা বলেন। ক্ষমতার জোর দেখিয়ে কথা বলেন মানুষ এগুলো শুনলে হাসে। আপনি স্বচ্ছ নির্বাচন দেন, আমরা আপনাকে টুস করে ফেলে দিব না। আমরা ক্ষমতায় আসলে আপনাদের নিরাপত্তা দিব। আপনার মত ঘাতক জঙ্গীর মত কথা বিএনপি বলে না। জনগণের সিদ্ধান্ত জনগণকে করতে দেন।