জিয়াউর রহমানকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয় : মামুন মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ৪ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫১ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ৪১ বছর হয়েছে জিয়াউর রহমান আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। উনার মৃত্যুটা স্বাভাবিক ছিলো না। উনার মৃত্যুটা ষড়যন্ত্র ছিলো কারন স্বাধীনতার পরবর্তী সরকার জনগনের যে স্বাধীন চেতনা ছিলো যে স্বাধীনতা পেলে আমরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারবো যেমন আমরা ৭১ সালের পরাধীন ও পরনির্ভরশীল ছিলাম পশ্চিম পাকিস্তানীদের উপর।
তিনি বলেন, তারা দিলে আমরা পেতাম, তারা খাওয়ালে আমরা খেতাম, তারা পড়তে দিলে আমরা পড়তাম। কিন্তু পরাধীনতা থেকে বের হবার জন্য আমাদের ৩০ লক্ষ ভাই, মা, বোন শহীদ হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী সরকার মানুষের স্বাধীনতার চেতনার সাথে প্রতারণা করতে শুরু করলো স্বাধীনতার মূল চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়ে। স্বাধীনতার চেতনাকে কুক্ষিগত করা হয় যারাই কথা বলতে গিয়েছিলো তাদেরই গুম করে দেওয়া হয়।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় সিদ্বিরগঞ্জের আরামবাগে অনুষ্ঠিত হয় এ দোয়া ও তোবারক বিতরণ।
অনুষ্ঠানে উক্ত ওয়ার্ডের সভাপতি আলী আহাম্মদ লালা ও সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী লেকুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গুম আওয়ামী লীগের আমলে শুরু হয় নাই। আপনেরা জানেন স্বাধীনতার পরই রক্ষিবাহিনীর হাতে ৩০ হাজার ছেলে মেয়ে গুম হয়েছে। কথায় কথায় তারা ধরে নিয়ে যেতো। একটা মাত্র দল ছিলো বাকশাল তখন ওইটার দায়িত্বে ছিলো শেখ মুজিবুর রহমান। যারা রাজনীতি করবে তারা বাকশালের সদস্য হয়ে করতে হতো। এটা কি ছিলো স্বাধীনতার চেতনা।বাকশাল স্বাধীনতার চেতনাকে কুক্ষিগত করে বাংলার অর্থ সম্পদ লুট করে। এতে শুরু হয় দুর্ভিক্ষ। তখন কোন বর্ষা, বন্যা, দূর্যোগ কিছুই ছিলো না। তখন রাতের আঁধারে ভারতের বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশের চাল পাচার হয়ে গিয়েছিলো এর ফলে এই দেশের কয়েক লাখ লোক মারা যায় দুর্ভিক্ষে।
মামুন মাহমুদ বলেন, আমি নিজে দেখেছি নর্দমা থেকে মরা মুরগি, মানুষের বমি মানুষকে খেতে। আজকে আমরা সেই অবস্থায় আছি। আজকে আমাদের স্বাধীনতা নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ আমাদের মাথা ফাঁটিয়ে দিয়ে যায়। আজকে আমরা কিছু বলতে চাইলে পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে যায়। আমরা কোন বক্তব্য দিলে আতংকে থাকি কখন আবার এসে আমাদের পুলিশ বাঁধা দেয় বা ধরে নিয়ে যায়। অথবা ছাত্রলীগের সোনার ছেলে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়ে যায়। এই স্বৈরাচারীতা থেকে আমাদের মুক্তি দিতে চেয়েছিলো প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমাদের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে শুরু করেছিলো।
মামুন মাহমুদ আরো বলেন, শফিউল আলম প্রধান পল্টনের এক জনসভায় মেডামের উপস্থিতিতে বলেছিলেন ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিলো কুত্তা মার্কা নির্বাচন। কোন মানুষ ভোট দিতে যায় নাই আপনেরা দেখেছিলেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। কুকুর-বিড়াল ঘুমিয়ে ছিলো ব্যালেট বাক্সের উপরে। মানুষ ভোট দিতে যায় নাই। আর কি ভোট দিতে যাবে ১৫৩ টা আসন ভোটের আগেই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপনি (শেখ হাসিনা) ২০০৮ সালে মঈনউদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট করবেন বলে তাকে নিয়ে নির্বাচন করলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আপনাকে কেউ ভোট দেয় নাই। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে আপনে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকিয়েছেন এবং বাড়িঘর ছাড়া করেছেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিদ্বিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাই রাজু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহ আলম হীরা, যুগ্ম সম্পাদক সোবহান, ওকিলউদ্দিন ভূইয়া, ৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ কামাল ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুর দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, শামীম আহম্মেদ, ইয়াছিন প্রধান, মোঃ আরিফ প্রমূখ।