জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ : ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৬ পিএম, ৩ জুন,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫২ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির এক ক্রান্তিকালে ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি এদেশের মুক্তিকামী জনতাকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সমুজ্জল নাম। আওয়ামী লীগ যতই ইতিহাস বিকৃত করুক না কেনো, নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি তত জনপ্রিয় আর একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী বীর হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্ভৌমত্ব যতদিন থাকবে, এদেশের আকাঁশে যতদিন লাল সবুজের পতাকা উড়বে, ততদিন জিয়াউর রহমান থাকবেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
আজ শুক্রবার (৩ জুন) বাদ জুমা নগরীর চকবাজার ধুনির পুলস্থ ফালাহ গাজী জামে মসজিদে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চকবাজার থানা যুবদলের দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জিয়াউর রহমান বহুবিধ সাফল্যের অধিকারী। তিনি স্বল্প সময়ের শাসনামলে নানা সঙ্কটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির এক বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, সময়োপযোগী গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন। আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতা শহীদ জিয়ার অন্যতম অবদান।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে কাজীর দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম মুছে ফেলার জন্য ইতিমধ্যে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এ চট্টগ্রামের মাটিতে জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেছেন, এখানে মিশে আছে শহীদ জিয়ার রক্ত। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে চট্টগ্রামবাসী তারঁ দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে তিনি বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করেছেন। বর্তমান সরকার সে ইতিহাস বিকৃত করে নতুন প্রজন্মের কাছে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করছেন। জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। তাই তারা বিএনপি’র নামে কুৎসা রটিয়ে জনবিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ এখন তাদের এসব মিথ্যা ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মহানগর বিএনপি নেতা ইব্রাহিম বাচ্চু, সৈয়দ আমিন মাহমুদ, আরিফ মেহেদী, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দিন, এড. সৈয়দুল আমিন, সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, যুগ্ম সম্পাদক ও চাঁন্দগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সহ সম্পাদকবৃন্দ মো. কামাল উদ্দিন, ইদ্রিস সবুজ, মো. সালাউদ্দীন, জিয়াউল হক মিন্টু, আলিফ উদ্দিন রুবেল, চকবাজার থানা যুবদলের আহবায়ক মো. সেলিম, বাকলিয়া থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, সি. যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাকিম মাহমুদ, সদস্য সচিব হাজী মো. মুছা, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, সি. যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল, মহানগর সদস্য সাব্বির ইসলাম ফারুক, আমিন উল্লাহ, সাইফুল্লাহ ইসলাম, মো. মিজান, আবুল হোসেন প্রমুখ