সোনাইমুড়ীতে ছাত্রদলের দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২০ পিএম, ২ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে উপজেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও লাঠি চার্জের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন রনি সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদ সাদ্দামসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাধন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মঙ্গলবার বিকেলের এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। গ্রেফতারকৃতরা হলো দেওটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও শুরহলী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে তানভীর হোসেন সিফাত (১৮), অম্বর নগর ইউপি'র উত্তর অম্বর নগর গ্রামের ছায়েদুল হকের ছেলে আবুল হোসেন (২৩), ও একই গ্রামের হানিফ ইন্জিনিয়ারের নতুন বাড়ির মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসান রাফি (২০) সহ ৫জন।
গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
উপজেলা ছাত্রদল সূত্রে জানাযায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ ব্যাপী ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে মঙ্গলবার বিকেলে সোনাইমুড়ী কলেজ মাঠ হতে একটি শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলটি সোনাইমুড়ী বড় মসজিদের সামনে আসলে পুলিশ সম্পুর্ন বিনা উস্কানিতে নিরপোরাধ ছাত্রদের উপর বেদড়ক লাঠি চার্জ করে। এতে ছাত্রদলের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় ছাত্রদলের ৩জনকে ও পরে আরও ২জনকে আটক করে পুলিশ। পরদিন বুধবার সকালে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের ২৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা,হত্যাচেষ্টা ভাংচুরের একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে সোপর্দ করে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক কামাল সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন সানী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন ও উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মাসুদের রহমান যৌথ বিবৃতিতে জানান, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ প্রমাণ করে দেশের গণতন্ত্র এখন হিমাগারে। পুলিশ দিয়ে মানুষের বাক-স্বাধীনতা হরন করছে সরকার। নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদল নেতাদের মুক্তি দাবী জানান।