আবুধাবিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৯ পিএম, ৩১ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২২ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্টাতা, স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সুজলা, সুফল শস্য শ্যামলা বাংলার রুপকার, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন আবুধাবি বিএনপি।
স্থানীয় একটি বলরুমে আবুধাবি বিএনপির সভাপতি ইসমাইল হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে, যুগ্ম সম্পাদক তারেক হাসান শামীম এর সঞ্চালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে আমিরাত বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি, স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী মধ্যপ্রাচ্যের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ সহ নানা রকম প্রতিকূলতার কারণে দেশ যখন তলা বিহীন জুড়িতে পরিনত হয়েছে ঠিক সেই মূহুর্তে ই আবির্ভাব হয়েছে ক্ষণজন্মা এই নেতার, তিনি এসেই কাল খাটা কর্মসূচি, কৃষির উপর জোড় দেওয়া, জনশক্তি রপ্তানি'র মাধ্যমে রেমিট্যান্স আয় সহ বহুবীদ জনকল্যাণমুখী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশকে স্বনির্ভর করেছেন।
শুধু দেশে নই সার্ক গঠনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব, তিনি বলেন, চিন্তা ও কর্মে জিয়া ছিলেন একজন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক জিয়ার ঘোষণায় স্বাধীনতার তূর্যধ্বনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউএই বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মধ্যপ্রাচ্য স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী'র অন্যতম সদস্য আব্দুস সালাম তালুকদার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বোয়ালখালি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইছহাক চৌধুরী বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে শাহাদাৎ বরণের মাধ্যমে শুধু সহিদ জিয়ার প্রাণ প্রদিপ গিয়েছেন তা কিন্তু নই, সেদিন নরপিশাচরা ধ্বংস করে দিয়েছেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, বন্ধ করে দিয়েছে উন্নয়নের পথ, তিনি আরো বলেন ৩১ মে ১৯৮১ সালে জিয়া হত্যার পরের দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার্সবার্গ প্রেস পত্রিকা এক প্রতিবেদনে উল্যাখ করেন, রাষ্ট্রপতি জিয়া হত্যার ফলে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের তাদের একজন ত্রাণকর্তাকে হারিয়েছেন। ভারতের প্রথম সারির পত্রিকা দি টাইমস অব ইন্ডিয়া এক সম্পাদকিয়তে উল্লেখ করে এমনকি ভারত কয়েকটি ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি জিয়ার ব্যাপারে অসন্তুষ্ট থাকলেও ভারতের পক্ষে এই সত্য উপেক্ষা করা সম্ভব নয় যে তিনি বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য হারে স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছেন এবং এজন্য তাকে সমর্থন করা উচিৎ এক কথায় সমগ্র বিশ্ব মানচিত্রে তিনি ছিলেন প্রশংসনীয় ব্যাক্তি।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান সুজন, আজমান বিএনপির সভাপতি শাহীনুর শাহিন, আব্দুল কুদ্দুস খালেক, মুছাফফা বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন, নূর হোসেন সুমন, আবুধাবি বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম টিপু, আমিরাত যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বাবু নীল রতন দাস, আমিরাত যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব গাজী, আবুধাবি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মনছুর, যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সাজিদুর রহমান সাচ্চু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ, সহ বিএনপি ও অংগ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরতেই কোরআন খতম ও শেষে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।