শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া বিরোধী দলে থাকলে জনগণের কথা বলেন - মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৬ পিএম, ২৯ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া বিরোধী দলে থাকলে জনগণের কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ঘুষ-দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করার দাবিতে আজ রবিবার ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের চৌরাস্তায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে থাকেন, তখন তিনি জনগণের কথা বলেন। আর খালেদা জিয়া যখন বিরোধী দলে থাকেন, সেও জনগণের কথা বলেন। তাঁরা যেন সব সময় জনগণের কথা বলতে পারেন, সে জন্য আসুন আমরা দুইজনকেই স্থায়ীভাবে বিরোধী দলে রাখার ব্যবস্থা করি।
তিনি আরো বলেন, আমারা বিএনপি আমলেও দেখেছি ভোট কারচুপি। ইলেকশন কমিশনার আজিজ, ভুয়া নির্বাচন তালিকা, হাওয়া ভবনের দূর্নীতির কথা মানুষ ভুলে নাই। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে, সে জায়গায় বিএনপি আসলে কোনো লাভ হবে না। ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় নিক্ষিপ্ত হব। একটা হলো আপদ আর একটা হলো বিপদ।আমরা আপদ বিপদ কোনোটাই চাই না।
কোনো দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। দলীয় সরকারের অধীনে যেহেতু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, এই সরকারের অধীনে কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা বলতে গিয়ে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, হাসিনা সরকার অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা তুলে দিতে চায়। ভোজ্যতেলের মূল্য কত হবে? দেশ কোন নীতিতে চলবে? কে দেশের সরকার গঠণ করবে? জনগণকে সে ব্যাপারে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয় না। তেলের দাম বেড়েছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, আটার দাম বেড়েছে, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু কৃষক যখন বিক্রি করে তার ফসলের দাম পান না। এভাবে আমাদের ওপর জুলুম-অত্যাচার চলছে।
তিনি আরো বলেন, যখন বলা হয় জিনিসের দাম বাড়ছে কেনো? আপনি কমানোর ব্যবস্থা করেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন বাজারের কাজ বাজার করছে, আমারতো করার কিছু নেই। আমি তাঁকে বলব, এইটাই যদি আপনার কথা হয় তাহলে এই সরকারে কোনোই দরকার নাই। ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাও।
কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি আরো বলেন, আজকাল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নীতি নৈতিকমতা ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের সম্পাদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকারি হিসেবে প্রতিবছর ৬৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। বাংলার সম্পদ ২২ পরিবার পাকিস্তানে পাচার করত। তার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।পকিস্তানে সম্পাদ পাচার বন্ধ করেছি, নতুন করে বাংলামেশী লুটপাটকারীরা কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় টাকা প্রাচার করবে এটা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। দরকার হলে আমরা আরেকবার মুক্তিযুদ্ধের মতো আন্দোলন গড়ে তুলবো। কিন্তু বাংলাদেশের সম্পাদ বিদেশে পাচার হতে দেব না।
সমাবেশে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ কাফী রতন, ঠাকুরগাঁও জেলা সিপিবির সভাপতি ইয়াকুব আলী, সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম, সহ -সাধারণ সম্পাদক আহছানুল হাবিব, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি চৌধুরী আনোয়ার হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।