ছাতকে সরকারি কর্মচারীকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা নিয়ে তোলপাড়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৬ এএম, ২৩ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৬ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সুনামগঞ্জের ছাতকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শক পদে দায়িত্বরত একজন সরকারি কর্মচারীকে আইন ও আচরণবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকালে আয়োজিত সম্মেলনে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের দলীয় সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় ওই ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শামসুর রহমানকে। তার বাড়ি ইউনিয়নের কাকুরা গ্রামে। সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার আগে এক যুগেরও বেশি সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও তিনি ছিলেন বলে জানায় দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের বেতনভুক্ত জনস্বার্থে লিপ্ত থাকা একজন পরিপূর্ণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও পদে আসীন হওয়ার জন্য দায়ী। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।’
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী রাজিব মোস্তফা বলেন, ‘শামসুর রহমান উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে কর্মরত আছেন। তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অফিশিয়ালি অবগত নই। এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সুনামগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু ধাম বলেন, ‘এমনটা হয়ে থাকলে ডেফিনেটলি এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন। আমার দৃষ্টিতে এ সংক্রান্ত প্রুফ এলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন সজল বলেন, ‘একজন আইনপ্রণেতার উপস্থিতিতে দলের নাম ব্যবহার করে এ জাতীয় বেআইনি কর্মকান্ডে আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। এর সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। এতে দলের যে বদনাম হচ্ছে তার দায়ভারও সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের নজরে নিয়ে আসব।’ এ ব্যাপারে শামসুর রহমানের বক্তব্য নিতে ফোন দেয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে ফোন দিবেন বলে লাইন কেটে দেন।