জনগণ খালেদা জিয়াকে এবার ক্ষমতার চাবি উপহার দিবে - তাসমিয়া প্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৫ এএম, ২২ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
হিটলারের রূপধারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ আর এক মহূর্তেও ক্ষমতায় দেখতে চায় না দাবি করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, ওরা শাসক নয় ওরা দুর্নীতিবাজ এবং জালিম। ওরা মানুষ নয় দানব। তাদের হাতে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমও নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে জাগপাসহ কোনো দল ভোট ডাকাতির খেলায় অংশ নিবে না। তবে মনে রাখবেন জনগণ এবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার চাবি উপহার দিবেন।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত জাগপার সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতির টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়নি বরং পদ্ম সেতুর দুর্নীতির টাকা বস্তায় ভরে আওয়ামী লীগ বিদেশে পাচার করেছে। সুতরাং জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু হলো আর আওয়ামী লীগ সরকার বলে বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মায় ফেলে দিবেন! ড. ইউনূসকে পানিতে চুবিয়ে তুলবেন। দয়া করে একটু সাবধানে কথা বলুন। আপনাদের পতন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতের কথা শুনলে আওয়ামী লীগের ভয়ের সৃষ্টি হয়। আজ আওয়ামী লীগ ইতিহাস ভুলে গেলেও ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াতের সাবেক আমীর শহীদ মতিউর রহমান নিজামীকে নিয়ে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১৭০ দিন হরতাল ডেকেছে এবং ক্ষমতায়ও গেছে। জনগণের প্রশ্ন আজ জামায়াতের অপরাধ কোথায়? আজ কেন নিরপরাধ জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদের হত্যা করা হলো।
তিনি বলেন, এই জালিম সরকার পশ্চিমাদের খুশি করার জন্য আলেমদের টার্গেট করছে। গণকমিশনের নামে ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এখন দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের শফিউল আলম প্রধানের মত হতে হবে। কারণ শফিউল আলম প্রধান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৩-৭৪’র আওয়ামী লীগের যে দুর্নীতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তখন শফিউল আলম প্রধানই নিজ দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের নতুন মডেল হলো উত্তর কোরিয়া মডেল। এক দেশ এক আওয়ামী। তাই আজ দেশের যে পরিস্থিতি সেটাকে মোকাবিলা করতে হলে মত দ্বিমত বুঝি না সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ আলেমদের হয়রানি করার জন্য যে গণকমিশন গঠন করা হয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। আসুন ছোট-বড় বিবেচনা না করে সবাই মিলে এই জালিম সরকারকে বিদায় করি। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন এনডিপির চেয়ারম্যান কারী মোঃ আবু তাহের, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মোঃ আনাছ, আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, জাগপার আরিফ হোসেন ফিরোজ, এনায়েত আহমেদ হালিম, মোঃ হেলাল নাসির উদ্দিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের আব্দুর রহমান ফারুকী, শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।