সবার আগে ভোট দিলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উৎসবমুখর পরিবেশে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সবার আগে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং আওয়ামী লীগের আলোচিত মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা।
আজ শনিবার ভোটগ্রহণের শুরুতেই নিজ কেন্দ্র উদয়ন প্রি-ক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। এ সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এদিন সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোট শুরুর কথা থাকলেও আগেই কেন্দ্রে যান আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় ভোটারদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এক নম্বর ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রটিতে ভোট শুরুর পর প্রথম ভোটটি তিনিই দেন।
পরে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের আবদুল কাদের বলেন, নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত। এই ভোটের মাধ্যমে সন্ত্রাস, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জয় হবে। তবে ভোটে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোরও ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই।
দলের হাইকমান্ড থেকে ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে তাকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান আবদুল কাদের মির্জা।
এর আগে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নিজের বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য আলোচিত ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই। নিজের দল আওয়ামী লীগ এবং দলটির মন্ত্রী, এমপি ও বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে সমালোচনা করে তুমুল আলোচনায় আসেন তিনি। সমালোচনা করেছেন নিজের বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়েও। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে হারানোর জন্য একাধিক সংসদ সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে টাকা ঢেলেছেন।
বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোশাররফ হোসেনসহ তিনজন। কাউন্সিলর পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে সাতজনসহ মোট ৩৫ জন প্রার্থী একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৯টি কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, তিনটি টিমে ২৪ জন র্যাব, ৮০ জনের ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং ২শ' জন পুলিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য সার্বক্ষণিক থাকবে পাঁচজন পুলিশ ও ১৩ জন করে আনসার সদস্য। তিনটি কেন্দ্রের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও সাতটি জরুরি টিম রাখা হয়েছে।
বসুরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১শ' ১৫ জন। পুরুষ ১০ হাজার ৬শ' ২১ জন এবং মহিলা ১০ হাজার ৪শ' ৯৪ জন। মোট ৯টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬১টি।