দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ বিএনপি'র
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০৪ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আজ শনিবার ৬০ পৌরসভায় মেয়র হতে লড়ছেন মোট ২২১ জন প্রার্থী। এছাড়াও সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে ২৯ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি ৩১ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোট হবে।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে এই দফার ভোট সংঘাত ছড়িয়েছে। এর মধ্যে দুয়েকটি জায়গায় সংঘাত-সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভোটের সংঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর লাশও উদ্ধার হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে ইসি। এ ছাড়া পাবনার সুজানগরে আজ ভোট হওয়ার কথা থাকলেও রিটের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ভোটের দিন দেওয়া হয়েছে ৩০ জানুয়ারি।
এদিকে পৌর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা গায়ের জোরে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। ঢাকায় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ধানের শীষের সমর্থক এমনকি প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, আজকের পৌরসভার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা সকালে থেকেই আমাদের এজেন্টদের সেন্টারে যেতে দেয়নি। অনেক জায়গায় বের করে দিয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ ধবংস করে দিয়েছেও বলে দাবি করেন তিনি।
সকালে পাবনায় বিএনপি মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়নকে মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পাবনায় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাকে জোর করে বের করে দিয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারা গায়ের জোরে ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের অবস্থা যে কী, তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছে। আমি আর বলতে চাই না।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের রজতজন্তরী উদযাপনে গঠিত সন্মাননা বিষয়ক উপকমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন তিনি।
এ সময় শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।