মন্ত্রী-এমপি ও তাদের স্বজনদের কর্মকাণ্ডে বিব্রত আ'লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ৯ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের স্ত্রীর টিকিটকাণ্ডের রেশ না কাটতেই আলোচনায় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য কানিজ সুলতানা হেলেনের ছেলে তাজ তালুকদারের টোলপ্লাজায় মারধর কাণ্ড।
এর আগে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যা করেছিলেন সে সময়ের সংরক্ষিত এমপি পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি। এমন কিছু বিতর্কিত ঘটনায় উন্নয়ন কাজ করেও জনগণের সমর্থন হারানোর শঙ্কা আওয়ামী লীগ নেতাদের। আর বিশিষ্টজনরা বলছেন, এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে দিতে হবে খেসারত।
নয় মাসেও স্ত্রী মন্ত্রীকে না বুঝলেও তার হঠকারী কর্মকাণ্ডে রেলমন্ত্রণালয় যে বিব্রত তা পরিষ্কার। তড়িঘড়ি করে টিটিইকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করার পর আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেয়া গেলেও ঈদযাত্রায় রেলসেবা নিয়ে মানুষের যে স্বস্তি ছিল তা আড়াল করেছে এ ঘটনা।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, নয় মাস হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে। আমাকে বুঝে উঠতেও তার সময় লাগবে।
রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর টিকিট ইস্যুর মধ্যেই পায়রা সেতুর টোল নিয়ে টোলপ্লাজার কর্মচারীদের মারধর ও হামলার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেনের ছেলে তাজ তালুকদারের বিরুদ্ধে। পুরো ঘটনা ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এমপি। এর আগে ২০১৫ সালে আরেক সংরক্ষিত এমপি পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি মদ্যপ অবস্থায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিলেন দুজনকে।
২০২০ সালে সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম গাড়িতে আঁচড় লাগাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে আহত করেছিলেন এক নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সরকার কিংবা দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি অথবা পরিবারের সদস্যদের এমন কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সরকারকে বিব্রত করে বলেও মনে করেন তারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিব্রতকর কিছু ঘটনা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বা তাদের আত্মীয় স্বজন করে এটা দুঃখজনক। কেউ শেখ হাসিনার চোখ থেকে এড়িয়ে যেতে পারবে না এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, ক্ষমতার অপব্যহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে দল ও সরকার সম্পর্কে খারাপ বার্তা যাবে এটিই স্বাভাবিক।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, যে কাজগুলো সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাতে হচ্ছে কি- সরকারে যে বড় বড় সাফল্যগুলো আছে, সরকারের যে কাজগুলো আছে এটা ঢাকা পড়ে যায়।
নারীদের নিয়ে অশালীন বক্তব্যের জেরে গত বছরের শেষের দিকে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারাতে হয় মুরাদ হাসানকে। পরে বিদেশ গিয়েও সেখানে আশ্রয় না পেয়ে আবার দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি।