গাজীপুরে পোশাক কারখানায় ঢুকে গুলি, ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৭ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গাজীপুর মহানগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জাঙ্গালিয়া পাড়ায় আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক এক সংসদ সদস্যের পোশাক কারখানায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিন সহযোগীসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। আটক ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম রবিন সরদার (২৬)। তিনি গাজীপুুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জিএমপি সদর ও বাসন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার মোল্লাকান্দি গ্রামের রুহুর আমিন সরদারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত তার ৩ সহযোগী হলেন, শরিয়তপুরের মোল্লাপাড়াার সিরাজ সরদারের ছেলে শাহীন ওরফে শামীম সরদার (৩২), গাজীপুর মহানগরীর যোগীতলার আব্দুল মতিনের ছেলে জোবায়ের আহমেদ হাওলাদার (২১) ও চতর এলাকার আতাউল্লার ছেলে মনির (২৬)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, গাজীপুর মহানগরীর নগরীর জাঙ্গালিয়া পাড়ায় আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবালের মালিকানাধীন বেন্টিলি লিমিটেড নামের সোয়েটার কারখানা রয়েছে। জনৈক আবু হানিফ ওই কারখানার ওয়েস্টেজ মালামাল নিয়মিত ক্রয় করে থাকেন। গতকাল বুধবার আবু হানিফ কারখানা থেকে মালামাল আনতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রবিন সরদার দলবল নিয়ে বাধা দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে মালামাল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দেন। এমনকি ইতিপূর্বেও কয়েক দফায় কারখানার ওয়েস্টেজ মালামাল ছিনিয়ে নিতে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা দিকে রবিন সরদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে জোরপূর্বক কারখানায় প্রবেশ করে। ছাত্রলীগ নেতা রবিন সরদার সেখানে একপর্যায়ে পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এবং কারখানার নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করে ওয়েস্টেজ মালামাল বোঝাই ট্রাক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এতে কারখানার শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলাকায় মাইকিং করে চাঁদাবাজদের ধাওয়া দেয়।
এসময় স্থানীয়রাও শ্রমিকদের সাথে যোগ দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রবিনসহ চারজনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেলসহ ওই চারজনকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কারখানার ম্যানেজার মোঃ ফজলুল হক বাদি হয়ে এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করে জিএমপি সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন।