চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৩ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ঠিক একই সময় পৃথক ঘটনায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই কর্মী নিহত হয়েছে। এরমধ্যে একজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই। আরেকজন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।
গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন ও নগরের জামালাখান ওয়ার্ডে পৃথক এই দুইটি ঘটনা ঘটে।
এরমধ্যে পটিয়ায় নিহত হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেনের ছোটভাই ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ভাগ্নে মোহাম্মদ সোহেল সোহেল (৩৪)। তিনি স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও একটি পেট্রল পাম্পের ম্যানেজার। আর ঠিক একই সময় নগরের জামালখানে ছুরিকাঘাতে নিহত হয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আসকার বিন তারেক ওরফে ইভান (১৮)।
জানা যায়, পটিয়ার কালিয়াইশে সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী প্রার্থী আবুল কাশেমের সাথে পরাজিত প্রার্থীর বিরোধ ছিলো। এরমধ্যে শুক্রবার তারাবিহ নামাজের সময় চেয়ারম্যান কাশেমের সাথে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক শরীফের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে শরীফ চেয়ারম্যান কাশেমের ভাই সোহেল ও তার সমর্থিত কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাহত করে। এরমধ্যে সোহেল ঘটনাস্থলে মারা যায়।
আর সাজ্জাদ (২০), সাদ্দাম হোসেন (৩০) এবং জয়নাল আবেদীন (৩৪) নামে চেয়ারম্যানের সমর্থিত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে পটিয়ার ঘটনার ঠিক একই সময় নগরের জামালাখান ওয়ার্ডের চেরাগি পাহাড় মোড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা আসকার বিন তারেক নিহত হয়েছে। পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ ও নগর ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির সাদিক সমর্থিত কিশোর গ্যাং গ্রুপের সংঘর্ষে এই খুনের ঘটনা ঘটে। ইভান সাব্বির সাদিকের অনুসারী বলে পরিচিত।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী কিশোর গ্যাং ও নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাব্বির সাদিকের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। সর্বশেষ জুনিয়র সিনিয়র ইস্যুতে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এনিয়ে শুক্রবার ইফতারের আগ থেকেই দুগ্রুপ একই স্থানে পৃথকভাবে শোডাউন করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে ছুরিকাঘাতে আসকার বিন তারেক নিহত হয়।
নিহত আসকার নগরের কোতোয়ালি থানাধীন এনায়েত বাজার এলাকার এস এম তারেকের পুত্র। সে বিএএফ শাহীন কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশে ফাঁড়ির দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে পটিয়া ও জামালখানে সংঘর্ষে নিহত দুইজনের লাশ একই সময়ে হাসপাতালে আনা হয়েছে। লাশ দুইটি মর্গে আছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে।